কুকুরের দলের সঙ্গে বুক চিতিয়ে লড়াই একা গোসাপের! ভাইরাল ভিডিও দেখে শিহরিত নেটিজেনরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-টুইটারের যুগে এখন লক্ষ লক্ষ ভাইরাল ভিডিও খুব সহজেই সামনে চলে আসে নেটিজেনদের। পাশাপাশি, কমেডি-নাচ-গান ইত্যাদি নানান কন্টেন্টের ভিডিও ভাইরাল হলেও নেটিজেনদের একটা বড় অংশ বিভিন্ন জীবজন্তুর ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলি দেখতেই ভালোবাসেন।

অকৃত্রিম এই সব ভিডিওগুলির মধ্যে কিছু কিছু ভিডিও এত মজাদার হয়ে যা খুব সহজেই জায়গা করে নেয় নেটিজেনদের মনে। অপরদিকে, কিছু কিছু ভিডিও এমনও থাকে যা দেখে রীতিমতো চমকে যান সবাই। বন্য জীবজন্তুরা যে কতটা ভয়ঙ্কর এবং নিষ্ঠুর হতে পারে তা সেই সব ভিডিওর মাধ্যমে হাড়ে হাড়ে টের পেয়ে যান নেটাগরিকরা।

সম্প্রতি এমনই একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও সামনে এসেছে যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন সকলেই। কুকুরের দলও যে কতটা আক্রমণাত্মক হতে পারে তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ওই ভিডিওতে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, ৬ টি কুকুরের একটি দল একনাগাড়ে আক্রমণ করে যাচ্ছে একটি কোমোডো ড্রাগনকে।

একটি জলধারার মধ্যে থাকা কোমোডো ড্রাগনটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে কুকুরের ওই দলটি। পাশাপাশি, একটি কালো রঙের কুকুরকে সর্বক্ষণ কোমোডো ড্রাগনটির লেজ কামড়ে ধরে থাকতেও দেখা যায়। প্রবল চিৎকারের মাধ্যমে কুকুরগুলি ক্রমশ আক্রমণ করতে থাকে সেটিকে। এমনকি, একটা সময়ে কোমোডো ড্রাগনটির মাথায় এবং পেটেও ক্রমশ কামড় দিতে থাকে কুকুরের ওই দলটি।

এদিকে, ক্রমাগত আক্রমণের জেরে আহতও হয়ে পড়ে কোমোডো ড্রাগনটি। অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে, শেষপর্যন্ত ওই ভিডিওটি করতে থাকা ব্যক্তিটি কুকুরগুলিকে তাড়িতে দিয়ে কোমোডো ড্রাগনটিকে ফের জলের দিকে টেনে নিয়ে আসেন। ততক্ষনে রীতিমতো ঘায়েল হয়ে পড়েছে সেটি। একটা সময়ে ধীরে ধীর ওই জায়গাটি থেকে চলে যেতেও দেখা যায় কোমোডো ড্রাগনটিকে। এদিকে, ভয়ানক এই ভিডিও দেখে শিহরিত হয়ে উঠেছেন নেটিজেনরা।

https://www.facebook.com/watch/?v=1154889568342448

ইতিমধ্যেই এই ভিডিওটি তুমুল ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে। মোট ৬ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪ মিলিনেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। পাশাপাশি, ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ কমেন্টের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। তবে, অনেকেই এই পুরো ঘটনায় যে ব্যক্তি ভিডিওটি করেছিলেন তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছেন। ভিডিও না করে তিনি কুকুরের দলটির হাত থেকে যে খুব সহজেই আগেভাগে কোমোডো ড্রাগনটিকে উদ্ধার করতে পারতেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর