‘আমি ঝাঁট দেব, ঘর মুছব, কিন্তু পড়ব না!” খুদের! ভাইরাল ভিডিও দেখে হেসে পাগল নেটপাড়া

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান যুগ সম্পূর্ণভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। প্রতিদিন হাজারো ভাইরাল ভিডিওর ভিড় লক্ষ করা যায় নেটমাধ্যমের প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই। যেগুলি দেখে সময় কাটান সকলেই। প্রায় প্রতিদিনই নিত্যনতুন ভাইরাল হওয়া ভিডিওর মাঝেও এমনকিছু ভিডিও থাকে যা দেখে রীতিমতো মনে দাগ কেটে যায়।

বিভিন্ন কন্টেন্টের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় স্থান পেলেও মাঝে মাঝে শিশুদের এমন কিছু ভিডিও সামনে আসে যা রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয় সবক্ষেত্রে। আট থেকে আশি সকলেই এই ভিডিওগুলি দেখতে পছন্দ করেন।

আমরা সবাই জানি, শিশুমন হল অপাপবিদ্ধ। তাঁদের মনও থাকে অত্যন্ত পরিষ্কার এবং সারল্যে ভরা। জীবনের গতিময়তায় কোনো জটিল ব্যাপারই স্থান পায়না তাদের কাছে। বরং তারা প্রতিটি জিনিসই নিজের মত করে দেখতে ভালোবাসে।

সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও সামনে এসেছে যেখানে এক খুদে পড়তে বসে নিজের একের পর এক দাবি তুলে ধরেছে। আর এই ভিডিওই বর্তমানে মন জয় করে নিয়েছে সকলের। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, পড়তে বসে এক খুদে রীতিমতো কেঁদে তার শিক্ষিকাকে নিজের ক্ষোভের কথা জানাচ্ছে।

সে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে, পড়াশোনা করতে তার একদম ভালো লাগেনা। বরং বাড়ির আনুষঙ্গিক কাজ করতেই মজা পায় সে। স্পষ্ট বাংলা উচ্চারণে কাঁদতে কাঁদতে ওই খুদেকে বারবার বলতে শোনা যায় “আমি ঝাঁট দেব, ঘর মুছবো, পাও টিপে দেব!” এমনকি, একটা সময়ে প্রবল রেগে গিয়ে বাড়িতে থাকতে চায়না বলেও জানিয়ে দেয় সে।

পাশাপাশি, বারংবার সে জানাতে থাকে বাড়ির কাজ করাটাই তার খুব পছন্দের। খুব সম্ভবত নিজের গৃহশিক্ষিকার সাথেই তার এই কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। এছাড়াও, ওই খুদে যে তার বাবা-মায়ের প্রতিও রেগে রয়েছে তা বেশ স্পষ্ট হয়েছে তার বক্তব্যে।

এদিকে, এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রায় প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই কয়েক লক্ষ বার দেখা হয়েছে। পাশাপাশি, এক ছোট্ট খুদের অভিমানের এই ভিডিওটি দেখে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াও দিতে দেখা যায় নেটিজেনদের। অনেকেই এই ভিডিওটিকে “মজাদার” মনে করলেও আবার অধিকাংশজনই শিশুমনের এই ক্ষোভের কারণে বর্তমান সামাজিক ব্যবস্থাকেও দায়ী করেছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর