বাংলাহান্ট ডেস্ক : অপরাধ, একখানি চুমু খেয়ে ফেলেছিলেন ভদ্রলোক! তাও নিজের স্ত্রীকে। কিন্তু হলে কি হবে! স্থানটি যে ছিল সরযূ নদী। এই পবিত্র নদীতে স্নান করতে নেমে নিজের স্ত্রীকে একখানি চুমু খাওয়ার অপরাধে ক্ষেপে উঠল জনতা। বেধড়ক মারধর করা হয় ব্যক্তিকে। একপ্রকার মারতে মারতেই জল থেকে টেনে তুলে দেওয়া হল স্বামী-স্ত্রীকে। এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অযোধ্যায়। ঘটনার ভিডিওটি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়তেও। নিন্দার ঝড় বয়ে যায় দেশ জুড়ে। অবশ্য ভিডিও হাতে পেয়েই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পড়েছে অযোধ্যা পুলিশ।
কী ঘটেছিল? অযোধ্যার পবিত্র সরযূ নদীতে স্ত্রীর সঙ্গে স্নান করতে নেমেছিলেন এক ব্যক্তি। জলে ডুব দিতে গিয়ে শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছিলেন স্ত্রী। বারবারই স্বামীকে আঁকড়ে ধরে বাঁচছিলেন তিনি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, সরযূ নদীতে স্নান করছেন ওই স্বামী-স্ত্রী। একটি ডুব দিয়ে জলের ধাক্কায় আর একটু হলে পড়েই যাচ্ছিলেন স্ত্রী, তখনই স্বামীকে আঁকড়ে ধরেন। ঠিক ওই সময়ই স্ত্রীর গালে আদর করে একটি চুমু খান যুবক। তাতেই মুহূর্তেই মধ্যেই খেপে যায় আশাপাশে স্নান করতে আসা মানুষ। শুরুতে এক ব্যক্তি এগিয়ে এসে হুঁশিয়ারি দেয়, ‘এটা অযোধ্যা! এখানে এ সব অসভ্যতামি বরদাস্ত করা হবে না।’
এই কথা বলতে না বলতে যুবককে মারতে শুরু করেন ওই ব্যক্তিই। স্ত্রী আপ্রাণ চেষ্টা করেন বাধা দেওয়ার। কিন্তু ততক্ষণে আরও কয়েকজন এগিয়ে আসেন। কয়েক হাত চালিয়ে দেয় তারাও। চলতে থাকে পরের পর লাথি-চড়-ঘুষি। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে স্ত্রী প্রাণপনে চেষ্টা করছেন ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে। কিন্তু পেরে উঠছেন না। ততক্ষণে আরও জনতা এসে ঘিরে ধরেছে যুবককে। অবশেষে ওইভাবে মারতে মারতেই তাঁকে জল থেকে টেনে ঘাটে তুলে দেওয়া হয়।
अयोध्या: सरयू में स्नान के दौरान एक आदमी ने अपनी पत्नी को किस कर लिया. फिर आज के रामभक्तों ने क्या किया, देखें: pic.twitter.com/hG0Y4X3wvO
— Suneet Singh (@Suneet30singh) June 22, 2022
এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নেট নাগরিকরা প্রশ্ন তোলে, অযোধ্যা হোক বা অন্য কোথাও, স্ত্রীকে একটি চুমু খেয়ে কি বিরাট অপরাধ করে ফেলেছেন? তাই বলে একজন স্বামীকে এই ভাবে মারধর করা হবে? এই কাজকে কি অপরাধ বলা হয়? অপরাধীদের পাকড়াও করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ট্যুইট করে অযোধ্যা পুলিশ জানায়, ‘অযোধ্যা কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রয়োজনে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’