জটিল অঙ্ক কষে দিচ্ছেন নিমিষেই, স্কুলের রাঁধুনি হয়ে গেলেন দিদিমণি! ভাইরাল ভিডিও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : তরুণ কবি সৈকত বসু লিখেছেন, “যে হাতে খুন্তি ধরি, সেই হাতেই ধরি কলম, সুখের সাথে ঘর করলেও দুঃখকে করি বরণ”। আজকের ঘটনা ঠিক যেন তেমনই। মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কার বিশাখা পাল যে হাতে ধরেন খুন্তি, সেই হাতেই চক ডাস্টার নিয়ে মগ্ন হয়ে গেলেন অংকের জটিল সমস্যা সমাধান করার জন্য। একটি প্রাথমিক স্কুলে রান্না করার পাশাপাশি শিশুদের অংক শিখিয়ে রীতিমতো সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ এই মহিলা। এই ঘটনা দেখে হতভম্ব স্কুলের শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী সবাই।

ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের। ফারাক্কার নয়ন সুখ শ্রীমন্ত পাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্যান্য দিনের মতোই রান্নার কাজ করার জন্য পৌঁছান বিশাখা পাল। এই স্কুলটিতে আনুমানিক ৩৬০ জনের কাছাকাছি পড়ুয়া রয়েছে। প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্য নিজের হাতে প্রতিদিন মিড ডে মিলের খাবার তৈরি করেন বিশাখা দেবী। তার রান্নার বিষয়ে পারদর্শিতা নিয়ে কেউ কখনো প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু সেই রান্নার দিদি এবার শিক্ষিকা হয়ে চমকে দিলেন গোটা স্কুলকে।

বৃহস্পতিবার স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের অংক শেখাচ্ছিলেন তাদের শিক্ষক। এরমধ্যে বেশকিছু পড়ুয়া ঠিকমত পড়াশোনা বুঝতে পারছিল না। এর ফলে শিক্ষক সেই পড়ুয়াদের বকুনি দেন। বিশাখা দেবীর সেই বকুনি শুনে মনের মধ্যে কষ্ট হয় এবং তিনি ক্লাসের মধ্যে আচমকা ঢুকে পড়ুয়াদের অংক শেখাতে শুরু করেন। সেই সময় ক্লাসে উপস্থিত শিক্ষক পরেশ দাস তার মোবাইল ফোনে গোটা ঘটনাটি ভিডিও করেন। পরে তার সোশ্যাল মিডিয়া আপলোড হলে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত বিশাখা দেবী বহুদিন ধরেই ওই স্কুলে রান্নার কাজ করে আসছেন। ছোট থেকে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ থাকলেও আর্থিক অনটনের কারণে তিনি দশম শ্রেণীর বেশি পড়াশোনা করতে পারেননি । শিক্ষক পরেশ দাস জানাচ্ছেন, “অন্যান্য দিনের মতোই বৃহস্পতিবার ক্লাস ফোরের স্টুডেন্টদের অংকের ক্লাস নিচ্ছিলাম। বেশ কিছু স্টুডেন্ট ঠিকমতো পড়া পারছিল না বলে তাদের বকেছিলাম। তা শুনে বিশাখা মাসি হঠাৎ ক্লাসে ঢুকে পড়েন এবং ব্ল্যাকবোর্ডে স্টুডেন্টদের অংক কষতে শেখান।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর