বাংলাহান্ট ডেস্ক: মৃত সন্তানকে শুঁড়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে মা হাতি। এমনই দৃশ্য দেখা গেল জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের আমবাড়ি চা বাগানে। অপত্য স্নেহ, অনুভূতি যে শুধু মানুষেরই নয়, তা যেন প্রমাণিত হল আরও একবার। আর এই দৃশ্য দেখে চোখে জল ধরে রাখতে পারলেন না প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ঠিক কী হয়েছিল?
দু’দিন আগে একদল হাতি ঢুকে পড়েছিল বানারহাটের চুনাভাটি চা বাগানে। শুক্রবার সকালে হাতির দলটি চলে আসে আমবাড়ি চা বাগানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে রেড ব্যাংক চা বাগানের দিকে রওনা দেয় হাতিগুলি।
বনদপ্তর জানিয়েছে, দলটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০টি হাতি ছিল। চুনাভাটি চা বাগান থেকে কিছুটা দূরে একদিকে ডায়না আর একদিকে রেতির জঙ্গল। বনকর্মীদের অনুমান, এই দুই জঙ্গলের কোনও একটি থেকে হাতির দলটি লোকালয়ে চলে আসে। এরপরেই এক জঙ্গল থেকে আর এক জঙ্গল পারাপার হওয়ার সময় এই হাতির বাচ্চাটির মৃত্যু হয়। তারপরই সন্তান হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে মা হাতি। মৃত সন্তানের দেহ নিয়ে কী করবে বুঝে উঠতে পারে না। আসলে মনে হয় সন্তান যে মারা গিয়েছে তা প্রথমে বুঝতে পারেনি মা হাতি। তাই সন্তানকে শুঁড়ে তুলে নিয়ে যেতে থাকে সে।
হাতির বাচ্চার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের একটি দল। মৃতদেহ উদ্ধার করতে যায় দলটি। কিন্তু হাতিটি রেডব্যাঙ্ক টি এস্টেটে চলে যায়। বন দফতর সূত্রে খবর ওই হস্তিশাবকটির মা সহ ৩০-৩৫ টি হাতির দল চা বাগানের জঙ্গলেই রয়েছে। এদিকে, হাতির মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। বন বিভাগের কর্মীরা নজর রাখছেন হাতির দলটির উপর। অন্ধকার নামলেই হস্তিশাবকটির দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।