হাত এবং পা নেই! মনের জোরেই রিকশা চালিয়ে আনন্দ মাহিন্দ্রার কাছ থেকে অফার পেলেন এই ব্যক্তি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আর পাঁচজন মানুষের থেকে তিনি অনেকটাই আলাদা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে হাত এবং পা নেই তাঁর! কিন্তু রয়েছে অসম্ভব মনের জোর। আর সেই জোরকে সম্বল করেই তিনি রাজপথে চালাচ্ছেন রিকশা। দিন কয়েক আগে ভাইরাল হওয়া এমনই এক ভিডিও ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে দেখেছেন অনেকে। ভিডিওটি দেখে সকলেই ভূয়সী প্রশংসাও করেন ওই ব্যক্তির। এবার সেই ভিডিওই পৌঁছে গেল দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রার কাছেও!

ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, হাত এবং পা ছাড়াই একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রাজপথে রিকশা চালাচ্ছেন। তাঁর ওই রিকশায় লাগানো রয়েছে একটি স্কুটির ইঞ্জিন। পাশাপাশি, রিকশাটি কেমন চালাতে হয় তাও নিজে চালিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, পথচলতি মানুষদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দিতে দেখা যায় তাঁকে। দুটি সন্তান এবং স্ত্রী সহ বৃদ্ধ বাবাকে দেখভালের জন্য দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ওই রিকশা চালাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আর এই মর্মস্পর্শী ভিডিওই পৌঁছে যায় আনন্দ মাহিন্দ্রার কাছে। যা দেখার পর সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটি শেয়ার করেন তাঁর টাইমলাইনে। পাশাপাশি ১ মিনিট ৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিও দেখে তিনি উনি টুইট করেন যে, “আমি জানিনা ওনার বয়স কত বা ওনার বাড়ি কোথায়, কিন্তু আমি বাকরুদ্ধ ওই ভদ্রলোককে দেখে যিনি তাঁর শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় আটকে না থেকে সেটিকে নিয়েই এগিয়ে চলেছেন”।

পাশাপাশি, ওই ব্যক্তির বাড়ি বা তিনি কোথায় থাকেন সেই সম্পর্কেও জানতে আগহ প্রকাশ করেন আনন্দ। যদিও, এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণ কুমার নামের এক ব্যক্তি ওই পোস্টের ভিত্তিতে জানিয়েছেন যে, তিনি ওই ব্যক্তিকে দিল্লির মেহরাউলি এলাকায় দেখেছেন।

তবে, এখানেই শেষ নয়, আনন্দ আরও একধাপ এগিয়ে “মাহিন্দ্রা লজিস্টিক”কে ওই পোস্টে ট্যাগ করে জানতে চেয়েছেন যে, প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তিকে মাহিন্দ্রার লাস্ট মাইল প্রজেক্টে “বিজনেস অ্যাসোসিয়েট” করা যায় কিনা! তারপরেই ব্যক্তিটির খোঁজ করছে আনন্দের টিম। স্বভাবতই, এই ঘটনায় আনন্দ মাহিন্দ্রারও প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন ভাইরাল ভিডিওকে সামনে এনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আনন্দ। এবার ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর