দুধ খেতে অনীহা, তবে মদের বোতল দেখেই চরম খুশি একরত্তি! ভাইরাল ভিডিও দেখে হতবাক সকলেই

বাংলা হান্ট ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে ততই বিশ্বজুড়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মদ্যপানকারীদের সংখ্যা। এমনকি আমাদের রাজ্যেও এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। যদিও, মদ্যপানের জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক হলেই পাওয়া যায় মদ্যপান করার ছাড়পত্র। কিন্তু, আপনি কি কখনও কোনো শিশুকে অ্যালকোহল বা ঐ জাতীয় কোনো দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট হতে দেখেছেন?

নিশ্চয়ই না! এমতাবস্থায় আপনাদের মনে হতেই পারে যে, আমরা হঠাৎ কেন এই প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করছি? এর কারণ হল সম্প্রতি নেটমাধ্যমে অদ্ভুত এক ভিডিও তুমুল গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে। যা দেখে নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারবেন না আপনি। যেখানে দেখা গিয়েছে একটি শিশু বেবিফুডকে ছেড়েই আকৃষ্ট হচ্ছে মদের বোতলের দিকে। আর এই দৃশ্য দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে নেটিজেনদের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে আমরা সবাই সুযোগ পেলেই নেটমাধ্যমে সময় কাটাতে ভালোবাসি। পাশাপাশি সেখানে থাকা ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলিও মনোরঞ্জনের জন্য দেখি আমরা। এমতাবস্থায় সেগুলির মধ্যে এমন কিছু ভিডিও থাকে যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান সবাই। এই ভিডিওটির ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি।

কি দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে?
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একটি শিশু একজন মহিলার কোলে বসে রয়েছে। এমতাবস্থায়, সেখানে উপস্থিত অন্য একজন তাকে প্রথমে বেবি ফুড খাওয়াতে গেলে সেটি খেতে চায়নি সে। তবে এরপরে সে যে কাণ্ড ঘটিয়েছে সেটি দেখেই হুঁশ উড়েছে সবার। মূলত, তারপর ঐ শিশুটিকে একটি মদের বোতল দেখানো হয় যা দেখে রীতিমতো চমকে ওঠে সে। এমনকি প্রবল আগ্রহে সেটিকে সে ধরতেও থাকে।

অর্থাৎ ওই বোতলটি যে তার খুব পছন্দ হয়েছে সেটি সহজেই বোঝা যাচ্ছে। এদিকে এই ভিডিওটিই তুমুল গতিতে ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দর্শক এবং লাইকের সংখ্যাও। ইতিমধ্যেই ২১ লক্ষেরও বেশি দর্শক এটি দেখেছেন এবং লাইক করেছেন ২৫ হাজার জনেরও বেশি। এদিকে ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের মন্তব্যও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। অধিকাংশ জনই মজাদার প্রতিক্রিয়া জানালেও অনেকে আবার এই দৃশ্য দেখে ওই শিশুটির বাবা-মায়ের সমালোচনাও করেছেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর