বাংলা হান্ট ডেস্ক : যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। এটি একটি বাংলার জনপ্রিয় প্রবাদ। কিন্তু যে গ্রাম প্রধান সেই ঝাঁটা লাঠি হাতে নিয়ে গ্রামবাসী তাড়া করছে, এ দৃশ্য বোধ হয় পশ্চিমবঙ্গে বিরল। কিন্তু এমনই এক ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipore) বেতকুণ্ডু এলাকায়। ওই এলাকার তৃণমূল প্রধান মধুমিতা হালদার ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করেন এক গ্রামবাসীকে।
কী হয়েছিল ঘটনা? ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ঝাঁটা হাতে এক যুবকের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন এক মহিলা। জানা যাচ্ছে, ওই মহিলার নাম মধুমিতা হালদার। তিনি বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। ওই যুবকে তাড়া করার সঙ্গেই চলেছে দেদার গালাগালি।
কেন তাড়া করছিলেন প্রধান? ওই যুবকের সঙ্গে প্রধানের কী নিয়ে তর্কাতর্কি তা পরিষ্কার বোঝা না গেলেও, এটুকু বোঝা যাচ্ছিলো যে যুবক কিছু সাহায্যের জন্য এসেছিলেন। তাঁর হাতে ছিল একটি কাগজ। সাহায্যের কথা শুনেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন প্রধান। পাশেই রাখা ঝাঁটা হাতে নিয়ে তেড়ে যান যুবকের দিকে। যুবকও রুখে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করেন, ‘তুমি আমাকে মারবে?’ পাল্টা প্রধানও হুমকি দিয়ে বলেন, ‘চলে যা, এখান থেকে চলে যা।’
পূর্ব মেদিনীপুরের বেতকুন্ডু অঞ্চলের প্রধানের কীর্তি! ঝাঁটা হাতে তাড়া করলেন সাহায্য চাইতে আসা গ্রামবাসীকে। pic.twitter.com/j0HQgZKkgw
— Bangla Hunt (@BanglaHunt) March 19, 2023
অপর যুবক ভিডিও করছিলেন। তিনি বারবার প্রথম যুবককে চলে আসতে বলছিলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা? একসময় ওই মহিলা প্রধান রেগে গিয়ে বলেন, ‘ছাগল একটা’। পাল্টা ওই যুবক বলেন, ‘কি! আমি ছাগল! তুমি ছাগল।’ সবশেষে যুবকের হাতের কাগজ ছুঁড়ে ফেলে দেন প্রধান। তারপর রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে রণে ভঙ্গ দেন যুবক।
সংবাদমাধ্যমকে প্রধান মধুমিতা হালদার জানান, ‘আমি স্নান করতে গিয়েছিলাম, তখন ছেলেটি এসে ভিডিও করা শুরু করে। আমি জিজ্ঞেস করতে আমাকে একটা কাগজ দেখিয়ে গাছের কথা জিজ্ঞেস করে। তখন আমি বলি গাছের কথা বলতে গেলে কি ভিডিও করতে হয়? আমাড সম্মানে লেগেছে। ও একটা মাতাল ছেলে। মদ খেয়ে এসে ছেলেটি নোংরামো করেছে। দলকে আমি জানাইনি। তবে দল জানে।’