বাংলাহান্ট ডেস্ক : শৈশবের দিনগুলিতে ফিরে যেতে কে না চায়। সেই হুল্লোড়, লাফালাফি, মজা সব কিছুকে ‘মিস’ করেন না এমন মানুষ বোধহয় পাওয়া দুষ্কর হবে। তাই সেই সুযোগ পেলে ছেড়ে দেওয়ার কোনও মানেই হয় না, সেটা যেখানেই হোক না কেন, অন্তত এমনটাই মনে করেন বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া তাঁর একটি ভিডিও সেই কথাই বলে।
দিন চারেক আগে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। সেই ভিডিওটিতে পশ্চিম ত্রিপুরার বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কৃষ্ণধন দাসকে রীতিমতো তাণ্ডব নৃত্য করতে দেখা যাচ্ছে। নিজের বাড়ির কোনও একটি পুজোতে ধুতি পাঞ্জাবি পরেই পরপর ডিজবাজি খেয়ে চলেছেন তিনি।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ওই বিধায়কের বাড়িতে সম্ভবত অক্ষয় তৃতীয়ার পুজো চলছে। তারই মধ্যে সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পরে নাচছেন কৃষ্ণধন দাস। অবশ্য তাঁর সেই ক্রিয়াকলাপকে নাচ বললে খানিক ভুলই হবে। বাজনা এবং ঢাকের তালে তালে মেঝেতে বিছানো সবুজ গালিচার উপর কখনও ব্যাঙের মতন লাফিয়্র বেড়াচ্ছেন, কখনও এক পায়ে এবং দুই হাতে ভর দিয়ে অন্য আর একটি পা বনবন করে ঘোরাতে চেষ্টা করছেন, কখনও হাঁটু গেড়ে বসেই দুই হাত উপরে তুলে নাচানাচি করছেন। এখানেই শেষ নয়, ওই ধুতি পরা অবস্থাতেই মেঝের রীতিমতো এদিক থেকে ওদিক ডিগবাজিও খেয়ে বেড়াতে দেখা যায় তাঁকে।
প্রকাশ্যে আসার পরই মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় এই ভিডিও। খোদ বিধায়কের এহেন ‘নৃত্যশৈলি’ দেখে যে দারুণ মজা পেয়েছেন মানুষ তা বলাই বাহুল্য। যদিও এহেন নৃত্য দেখে টিপ্পনি কাটতে মোটেই ছাড়েননি নিন্দুকরা। তাঁদের দাবি নাকি ‘বাংলা মদ’ খেয়েই এমন ‘ভয়াবহ’ ডিগবাজি খেয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। শুধু তাই নয়, কারও কারও আবার দাবি, সব জনপ্রতিনিধিদেরই এভাবে মদ্যপ হয়ে নাচা উচিত। তাতেই নাকি সাধারণ মানুষের অভূতপূর্ব বিনোদনের ব্যবস্থা হবে। এই ভিডিও প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি ওই বিধায়কের তরফে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট।