বয়স তো একটি সংখ্যা মাত্র! পার্কে ঠাকুমাদের দোল খাওয়ার ভিডিও দেখে আবেগে ভাসছে সবাই

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বয়সের ভারে সবাইকেই একদিন বার্ধক্যকে মেনে নিতে হয়। কারণ, জীবনচক্রের চিরন্তন সত্যকে লঙ্ঘন করতে পারেন না কেউই। কিন্তু, তা বলে কি শৈশবকালের আনন্দকে বেমালুম ভুলে যাওয়া যায়? অবশ্যই এর উত্তর হল “না”। কারণ, জীবনের সবথেকে সুন্দর সেইসব দিনের সুখস্মৃতি থেকে যায় সারাটা জীবন। পাশাপাশি, বার্ধক্যের ভারে যেন সেই শিশুসুলভ আচরণগুলিকেই ফিরে পেতে ইচ্ছে করে বারংবার। এমতাবস্থায়, ঠিক সেইরকমই এক দৃশ্য এবার সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।

এমনকি, সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই তুমুলগতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। যা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। মূলত, একটি পার্কে মনের আনন্দে সময় কাটাতে দেখা গেল বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের। শুধু তাই নয়, সেখানে গিয়ে রীতিমতো নিজেদের ছোটবেলাকে ফিরে পেলেন তাঁরা। বার্ধক্যের ভ্রূকুটিকে দূরে সরিয়ে রেখেও যে মনের আনন্দে দিন কাটানো সম্ভব সেটাই প্রমাণ করে দেখিয়েছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের কাছে এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে দিনের বেশকিছুটা সময় আমরা ব্যয় করি। কাজের ফাঁকেই হোক কিংবা অবসরে মনোরঞ্জনের জন্য আমরা পাড়ি দিই সেখানে। এমতাবস্থায়, নেটমাধ্যমে বিভিন্ন মজাদার পোস্টের পাশাপাশি পাওয়া যায় ভাইরাল হওয়া সব ভিডিও। সেগুলির মধ্যেই এমন কিছু ভিডিও থাকে যা খুব সহজেই জিতে নেয় সকলের মন। এই ভিডিওটির ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি।

কি দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে: সম্প্রতি, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, পার্কের দোলনায় মনের আনন্দে দোল খাচ্ছেন দুই বৃদ্ধা। রীতিমতো সময়টিকে উপভোগ করছেন তাঁরা। সাদা রঙের শাড়ি এবং পায়ে চপ্পল পরিহিত অবস্থায় তাঁরা ফিরে গিয়েছেন ছোটবেলায়। তাঁদের বয়স যে ৬০ ছাড়িয়েছে তাও স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে ভিডিওটিতে।

তবে, শুধু ওই দুই বৃদ্ধাই নন। পাশাপাশি, আরও এক বৃদ্ধকে দেখা গেল ওই পার্কে। বাচ্চাদের খেলার জায়গায় বসে তিনিও উপভোগ করছেন বিষয়টি। এক কথায়, তাঁরা বৃদ্ধ হয়ে গেলেও তাঁদের মনের বয়স যে বাড়েনি সেটাই যেন ফুটে উঠেছে ভিডিওটিতে। ইতিমধ্যেই pala_achayan_achayathees নামের এক ব্যবহারকারী ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। যা দেখতে পাল্লা দিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি, বাড়ছে লাইকের সংখ্যাও। সর্বোপরি, এই মন ভালো করা ভিডিও দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন তাঁরা।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর