বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘হতাম যদি সোনালী ডানার চিল,আকাশের বিন্দু থেকে মেঘ এনে দিতাম তোমায়; হতাম যদি বাউন্ডুলে ঘুড়ি, বর্ষার দিনে মেঘ সরিয়ে এক চিলতে রোদ এনে দিতাম তোমায়’… কবি সৈকত বসুর এই লেখায় প্রিয়জনের জন্য হাজার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে প্রিয় মানুষটি এনে দিতে চেয়েছিলেন প্রেম স্বপ্নের সবকিছু।
তবে কবি সুকান্ত বহুদিন আগেই বলে গেছেন ‘পূর্ণিমার চাঁদ আসলেই ঝলসানো রুটি!’ কাব্যের আঙিনায় প্রিয়জনের জন্য চাঁদ-তারা থেকে শুরু করে সমুদ্রমন্থন করে নিয়ে আসা যায় শতাব্দি পুরনো শিলালিপি। তবে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাস্তবিক চাহিদা পূরণ করার মানুষ মেলা বিরল। তবে প্রেম দিবসের দিন খানিকটা হলেও ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ল শহরের রাস্তায়। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আজকাল অনেক কিছুই খুব দ্রুত ভাইরাল হয়।
আরোও পড়ুন : বউয়ের প্রেমে হাবুডুবু! ২৫ বছর পরেও ‘একা বিছানায় শুতে অসুবিধে হয়…’, চৈতালিকে নিয়ে অকপট রূপঙ্কর
প্রেমের বন্ধনে যুগলের পাগলামো থেকে শুরু করে ব্যর্থ প্রেমের জন্য নিঃশ্বাস শেষ করে দেওয়া যৌবন, আজকাল আমরা সবকিছুই দেখতে অভ্যস্ত। তবে সম্প্রতি যে ভিডিওটি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তা অনেকের চোখেই এনেছে আবেগের জল। একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লাল শাড়ি পরা এক তরুণী হুইল চেয়ার ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন।
আরোও পড়ুন : নতুন ভাবে সেজে উঠছে কলকাতা স্টেশন! নবরূপ দেখলে এক্কেবারে অবাক হয়ে যাবেন আপনি
সেই হুইল চেয়ারে বসে রয়েছেন সবুজ পাঞ্জাবি পরা এক যুবক। কোনও কারণে সেই যুবক হয়ত হাঁটতে অক্ষম। তবে সেই যুবকের অক্ষমতা পূরণ করে দিয়েছেন তার সঙ্গিনীটি। প্রেম দিবসের দিন যখন অন্যান্য যুগলেরা হাতে হাত রেখে শাসন করছেন শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত, তখন নিজের প্রিয় মানুষটিকে হুইল চেয়ারে করে শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ালেন এই তরুণী।
তরুণীর এই মানসিকতাকে অনেকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন। প্রেম বা ভালবাসায় কোনও কিছুই যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, সেই কথাই যেন ফের একবার প্রমাণ করলেন এই তরুণী। এক সমাজ মাধ্যম ব্যবহারকারী এই ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘খারাপ সময়েও কারণ ছাড়াই হাতে হাত ধরে থেকেছে সে, তাঁর ভালোবাসা ভয়ংকর সুন্দর 💛কথা দিয়ে কথা রাখা মানুষগুলো সবসময় ভালো থাকুক…।’