অনুশীলনের সময়ে পড়ল ২৭০ কেজির রড! তৎক্ষণাৎ মৃত্যু ভারতীয় পাওয়ারলিফ্টারের, ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অতর্কিত ঘটল বিপদ! যার ফলে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ভারতের ১৭ বছর বয়সি স্বর্ণপদকজয়ী পাওয়ারলিফ্টার যষ্টিকা আচার্যের। অনুশীলনে সময়ে ২৭০ কেজি ওজনের বারবেল পড়ে যায় তাঁর কাঁধের ওপর। যার ফলে ভেঙে যায় তাঁর ঘাড়। অফ এইভাবেই মুহূর্তের মধ্যেই মৃত্যু হয় যষ্টিকার। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও (Viral Video) সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে পুরো বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে। ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে শিউরে উঠেছেন সকলেই।

ভাইরাল হয়েছে সেই মুহূর্তের ভিডিও (Viral Video):

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত মঙ্গলবার রাজস্থানের বিকানেরে একটি জিমে প্রশিক্ষকের সঙ্গে ভরোত্তলনের অনুশীলন করছিলেন যষ্টিকা। সেই সময়েই ঘটে যায় বিপত্তি। ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, যষ্টিকা ২৭০ কেজি ওজনের একটি বারবেল কাঁধের ওপর তুলে রেখেছেন। তাঁকে সাহায্য করছিলেন তাঁর প্রশিক্ষকও। কিন্তু, ওই বিপুল ওজন তোলার সাথে সাথেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন যষ্টিকা।

শুধু তাই নয়, বিষয়টি সামলাতে পারেননি তাঁর প্রশিক্ষকও। যার কারণে ওই বারবেল সরাসরি যষ্টিকার ঘাড়ের ওপর পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এমনকি, বারবেলটি ছিটকে যষ্টিকার প্রশিক্ষকের মুখেও আঘাত করে। মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যাওয়া এই বিপদে সেখানে থাকা সবাই হতচকিত হয়ে পড়েন। আর এই পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে ক্যামেরায় (Viral Video)।

আরও পড়ুন: ৫ বছরে ৫৫০ শতাংশেরও বেশি রিটার্ন! মার্কেটে ঝড় তুলছে টাটা গ্রুপের এই শেয়ার

ইতিমধ্যেই, ওই ভাইরাল ভিডিওটি (Viral Video) “সচিন গুপ্তা” নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। যেটি লক্ষ লক্ষ জন দেখে ফেলেছেন। প্রত্যেকেই এই ভিডিওটি দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন। এদিকে, দুর্ঘটনার পরে পরে যষ্টিকাকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: যেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন রতন টাটা, সেই হাসপাতালেই ৫০০ কোটির বিনিয়োগ টাটা গ্রুপের

যষ্টিকার মৃত্যুর খবরটি স্পষ্ট করেন বিকানেরের নয়া শহরের এসএইচও বিক্রম তিওয়ারি। তবে, যষ্টিকার পরিবারের পক্ষ থেকে এই নিয়ে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেও জানা গিয়ে। গত বুধবার ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর