তালিবানের সামনে চুপসে গেল পাকিস্তানি সেনা, তাড়া করতেই পালাল সরঞ্জাম রেখে! ভাইরাল ভিডিও

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পারমাণবিক বোমায় সজ্জিত পাকিস্তান (Pakistan) আগাগোড়াই বড়বড় বাতলিং দিতে অভ্যস্ত, আর সেই পাকিস্তানের সেনারাই তালিবানদের দেখে ল্যাজ গুটিয়ে পালাল। অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছে যে, পাকিস্তান ডুরান্ড লাইনে (Durand Line) বেড়া দিতে চায় কিন্তু তালিবান তা করতে দিচ্ছে না। কিছুদিন আগেই তালিবান ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলিও হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনায় তালিবানরা আফগানিস্তানের নিমরোজ প্রদেশের চর বোরজাক জেলা থেকে পাকিস্তানি সেনাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানি সেনাদেরও সেখান থেকে ল্যাজ গুটিয়ে পালাতে দেখা যায়।

আফগানিস্তানের সুপরিচিত সাংবাদিক বিলাল সারওয়ারি তালিবানদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী পশ্চিম আফগানিস্তানের চর বোরজাক জেলায় বেড়া দিতে চেয়েছিল। সেখানে প্রচুর পরিমাণে তালিবান সৈন্যদের পাঠানো হলে পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে যায়। তাঁরা সেখানে বেড়ার অনেক সরঞ্জামও ফেলে পালায়। তালিবান সেখানে তাদের সৈন্যদের মোতায়েন করেছে এবং সতর্ক রয়েছে।

এর আগে পাকিস্তান দাবি করেছিল যে তালিবানের সাথে তাঁদের বিবাদ মিটে গেছে, কিন্তু বাস্তবতা বিপরীত বলেই মনে হচ্ছে। অবস্থা এমন যে, ডুরান্ড লাইন নিয়ে তালিবান ও পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদ বেড়ে চলেছে। তালিবান আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে এবং যুদ্ধেও হুমকি দিয়েছে। তালিবানরা প্রথম থেকেই পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমান্ত ডুরান্ড লাইনকে স্বীকৃতি দেয় না।

তাঁদের দাবি, আফগানিস্তানের এলাকা বর্তমান সীমান্তের অনেক বাইরে। এটিই একমাত্র ইস্যু যার উপর আফগানিস্তানের প্রাক্তন সরকার এবং তালিবান একমত ছিল। তালিবান ডুরান্ড লাইনে পাকিস্তানের বেড়াও ভেঙে দিয়েছে। এমতাবস্থায় তালিবানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে বিশ্ববাসীর কাছে অনুদান চাওয়া ইমরান খানের সমস্যা যে আরও বাড়তে চলেছে তা নিশ্চিত।

আফগানিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ পশতুন এবং তালিবানরা কখনই ডুরান্ড লাইনকে সরকারী সীমান্ত রেখা হিসাবে বিবেচনা করেনি। তালিবানের শীর্ষ মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আফগানিস্তান দখলের পরপরই বলেছিলেন যে নতুন আফগান সরকার এই বিষয়ে তাঁর অবস্থান ঘোষণা করবে। তিনি দাবি করেছিলেন যে পাকিস্তানের তৈরি বেড়া মানুষকে আলাদা করেছে এবং পরিবারগুলিকে বিভক্ত করেছে। আমরা সীমান্তে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে চাই, তাই বাধা সৃষ্টি করার দরকার নেই।

X