বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাঝে দীর্ঘদিনের বিচ্ছেদ। একে অপরের ‘প্রাক্তন’ হয়ে ওঠা। সেসব পেরিয়ে এসে আবারও কাছাকাছি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। এবার বিয়ে করতে চলেছেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দুই মহাতারকা।
প্রেম দিবসেই শুভ সংবাদ শোনালেন তাঁরা। বিয়ের কার্ডও পৌঁছালো মানুষের কাছে। সোমবার সকালে ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’ লেখা সেই বিয়ের কার্ড দেখে কার্যতই চোখ কপালে বাঙালির। বিয়ের সেই কার্ডে লেখা, ‘সবিনয় নিবেদন, বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় একসঙ্গে স্ক্রিণ শেয়ার করার পর এবার আমরা নতুনভাবে আপনাদের সামনে। প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা। গুরুজনদের আশীর্বাদ ও সকলের ভালোবাসা নিয়ে আমরা আগামীর পথ চলতে চাই। পাকা দেখা থেকে বিয়ের সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সম্রাট শর্মা ও তাঁর হাট্টিমাটিম টিম৷ বিয়ের ঘটকালির দায়িত্বে পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের তত্ত্বাবধানে মোহর ও শর্মিষ্ঠা। ডিজিট্যাল পত্রের দ্বারা নিমন্ত্রণের ত্রুটি মার্জনীয়। ইতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত’।
বিয়ে সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য ‘লজ্জা না পেয়ে’ যোগাযোগ করতে বলে ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে প্রসেনজিৎ এর ম্যানেজর মোহর এবং ঋতুপর্ণার ম্যানেজার শর্মিষ্ঠার।
View this post on Instagram
বিয়ের দায়িত্বে থাকা সম্রাট শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন ‘অনেক দিন ধরেই পাত্র-পাত্রীর খোঁজ চলছিল। বিয়ের মরশুম, প্রেমের মাস। এর থেকে ভালো দিন আর নেই, এ রকম শুভ সংবাদ সবাইকে জানানোর। খুব শিগগিরই শুভ লগ্ন দেখে বিয়ের দিনও জানানো হবে।’
আসলে নতুন ছবি মুক্তি পেতে চলেছে বাংলার এভারগ্রিন সুপারহিট জুটির। সেখানেই গাঁটছড়া বাঁধতে দেখা যাবে এই জুটিকে। ছবিটির পরিচালক সম্রাট শর্মা। সেই ছবিরই প্রচার কৌশল এই বিয়ের কার্ড। যদিও এখন ছবির ব্যাপারে সামান্যতম মুখ খুলতেও নারাজ সবিনয় নিবেদন টিমের সকলেই।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই মদন মিত্রর বিয়েকে ঘিরেই তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে। মদন মিত্র ফেসবুক লাইভে জানান, দ্বিতীয় বিয়ে করতে চলেছেন তিনি। এরপর সবাইকে চমকে একটি বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে বিয়ের ৪২ বছর পর স্ত্রী অর্চনা দেবীর গলাতেই দ্বিতীয় বার মালা দেন তৃণমূলের কালারফুল বয়। তারপর এরই দিনকয়েকের মধ্যে প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণার বিয়ের খবরে কার্যতই শোরগোল রাজ্যে।