ভোররাতে বিস্ফোরণে উড়ল চাঁদনি চকের ব্রিজ, ১৩০০ ছিদ্রে ঢালা হয়েছিল ৬০০ কেজি বারুদ! ভাইরাল ভিডিও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাম্প্রতিককালে বিপদজনক হয়ে পড়ায় নয়ডার টুইন টাওয়ারটি ভেঙে ফেলা হয়। ভাঙা হয় সুপরিকল্পিতভাবে। বারুদের সাহায্য নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙা হয়েছিল টুইন টাওয়ার গত ২৮ শে অগাস্ট। সেই একই ধাঁচে শনিবার মধ্যরাতে ভেঙে ফেলা হলো চাঁদনী চক সেতু। চাঁদনী চক এলাকার সুপ্রাচীন এই সেতুটি অনেক পুরনো হয়ে যাওয়ার কারণে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছিল। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারতো এই সেতুটি। তাই আসন্ন দুর্ঘটনা হারাতে আগেভাগেই ধ্বংস করে দেওয়া হলো সেতুটিকে।

জেলা কালেক্টর রাজেশ দেশমুখ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “নয়ডায় যেভাবে টুইন টাওয়ারটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছিল সেই একইভাবে শনিবার রাত থেকে রোববার ভোরের মধ্যে ৬০০ কেজি তরল বারুদের সাহায্য নিয়ে চাঁদনী চক সেতুটিকে ভাঙ্গা হলো।”

ঠিক কী পদ্ধতি অবলম্বনে ভাঙা হলো সেতুটি?

এ সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয় শনিবার মধ্যরাত থেকে। মধ্যরাতে ড্রিল মেশিন দিয়ে গোটা সেতু জুড়ে প্রায় ১৩০০টি বৃহদাকার ছিদ্র করা হয়। তারপর এই ছিদ্র গুলিতে ঢেলে দেওয়া হয় প্রায় ৬০০ কেজির লিকুইড বারুদ। শুধু সেতুতেই নয় সেতুর স্তম্ভগুলিতেও ড্রিল মেশিনের সাহায্যে প্রায় ৯৪০০ টি ছিদ্র করা হয়েছিল। সেই সমস্ত গর্ত গুলিকেও ভর্তি করা হয়েছিল তরল বারুদ দ্বারা। এতে মোট বারুদ খরচা হয়েছে, ৩৫০০ কেজি তরল বারুদ। বিস্ফোরণের সময় যাতে কোন মানুষ বা পশুর ক্ষতি না হয় তার জন্য বিস্ফোরণের অনেক আগে থাকতেই সেতুটির চারপাশে ২০০ মিটার পর্যন্ত পুরো খালি করে দেওয়া হয়েছিল পুলিশের তরফ থেকে।

মধ্যরাতে কাজ শুরুর অনেক আগেই প্রায় রাত এগারোটা নাগাদ ট্রাফিক পুলিশের সাহায্যে সেই সেতু দিয়ে চলাচলকারী সমস্ত গাড়িকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এবং সমস্ত এলাকাজুড়ে নজরদারি জারি করা হয় যাতে বিস্ফোরণকালে কেউ সেখানে না থাকে। সেতুটির থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে রাখা ছিল ডেটনেটার। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বারুদ ভরা সম্পূর্ণ হলে ডেটনেটারের বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয় এবং তৎক্ষণাৎ তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা এবং তার সাথেই ধুলিস্যাৎ হয় চাঁদনী চক ব্রিজ।

বিস্ফোরণ এর পরে সমস্ত ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলার তোড়জোড় শুরু হয়। রবিবার সকালের মধ্যে সমস্ত ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলা হয়। রবিবার বেলার দিক থেকে সমস্ত যান চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় আসে। আগামীতে এই অঞ্চলে মাল্টি লেভেল ফ্লাইওভার তৈরির বিপুল সুবিধা লাভ করবে মানুষ সেই আশায় আশাবাদী সবাই।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর