বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট সংক্রান্ত বিক্ষোভের কথা এখনও ভুলে যায়নি রাজ্যবাসী। এই বিক্ষোভ থেকে বেশ কয়েকটা আশ্চর্যজনক বিষয় উঠে এসেছিল। কোথাও ছাত্রীর মায়ের সাথে আভি করছিলেন যে তার মেয়ে ইংরেজিতে মেসেজ করতে সক্ষম, তার বাকি বন্ধুরা বাংলায় মেসেজ করে তাহলে তার মেয়ে কি করে ইংরেজিতে ফেল করল! কোথাও বা ছাত্রীকে হায়ার সেকেন্ডারি বানান জিজ্ঞাসা করা হলে “মানছি না মানবো না” প্রতিবাদে ভরিয়ে দেয় ছাত্রী। ব্যাপারগুলি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ হাসির রোল তুলেছিলেন কেউ কেউ উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন।
এরকমই আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল যেখানে নদীয়ার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুদীপ্ত বিশ্বাস তার সঙ্গীদের সাথে মিলে ধর্নায় বসেছিলেন। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন যে তাদের ইংরেজিতে পাস নম্বর দেওয়া হয়নি সেই দাবি নিয়ে।তার দাবি ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে শুরু করে বাকি সমস্ত বিষয়ে তিনি মন্থিত নম্বর পেয়েছেন কিন্তু ইংরেজিতে কেন তিনি পাস করতে পারলেন না এই দাবি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি এবং তার বান্ধবীরা। তো তাকে ইংরেজি Umbrella বানান জিজ্ঞাসা করলেই কে অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায়। শেষমেশ Umbrella বানান দিয়ে দাঁড়িয়েছিল Amrela। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসি-ঠাট্টা থেকে শুরু করে বিস্ময় প্রকাশ সমস্ত কিছুই অব্যাহত ছিল।
তারপর এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তে বিভিন্ন জায়গা থেকে দাবি করা হচ্ছিল যে পশ্চিমবঙ্গে পড়াশোনার অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে। দাবিটা যে পুরোপুরি মিথ্যে এমনটা বলা যায় না। কিন্তু বিহারের মতিহারি জেলার পার্ক বি ব্লক এলাকার একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পাওয়ার পর এবার বিহারের পড়াশোনা সংক্রান্ত ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই এলাকার এসডিওরবীন্দ্রকুমার আচমকাই সেই স্কুলে পরিদর্শনের জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে প্রধান শিক্ষককে একটি সহজ হিন্দি বাক্য ইংরেজিতে অনুবাদ করতে বলেন তিনি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা করতে পারেন না। এমনকি তার সহকারি শিক্ষক ভূগোলের মুকুল কুমার কে জলবায়ু এবং আবহাওয়ার মধ্যে পার্থক্য জিজ্ঞাসা করলে সেই সহকারি শিক্ষক সেই উত্তর দিতে ব্যর্থ হন।
शर्मनाक | कैमरे पर हेडमास्टर नहीं कर पाए मैं स्कूल जाता हूं का अंग्रेजी अनुवाद, SDO ने ली क्लास#ViralVideo #NitishKumar pic.twitter.com/4lpVmY0Z6n
— Bihar Tak (@BiharTakChannel) July 10, 2022
ঘটনাটি শুধু একটি মাত্র স্কুলে ঘটেনি। এসডিও রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন যে বেশ কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের তিনি নানান রকম প্রশ্ন করেছিলেন যার মধ্যে দু তিনটে জায়গায় এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যদি শিক্ষকদের এই অবস্থা হয় তাহলে ছাত্ররা কি শিখবেন। যদিও নেটিজেনদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে বিহারে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয় মাঝেমধ্যেই বিহারের এমন ভিডিও ভাইরাল হয়ে থাকে এবং এই নিয়ে বিহারের সাধারণ মানুষ খুব একটা মাথাও ঘামান না। পশ্চিমবঙ্গবাসী এখন প্রার্থনা করতে পারে যে তাদের শিক্ষাব্যবস্থা যেন ওই পর্যায়ে অন্তত না নেমে যায়।