বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে একের পর এক ভাইরাল ভিডিও আমাদের সামনে উঠে আসে, যেগুলি দেখে কখনো মানুষ হতবাক হয়ে পড়ে, তো কখনো আবার ভীত সন্ত্রস্ত হতেও দেখা মেলে। এক্ষেত্রে অনেক সময় এ সকল ভিডিওগুলি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়ে থাকে। এরকমই একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়ে পড়েছে, যা ইতিমধ্যে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করে চলেছে।
সম্প্রতি Ratan Dutta নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে চা, ঘুগনি এবং ঝাল মুড়ির পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক খাবারের দ্রব্য বিক্রয় করতে দেখা গিয়েছে একজনকে। তবে তার মুখমণ্ডলে পরিহিত একটি মুখোশ দেখেই হতবাক হয়ে পড়েন সকল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।
অজ্ঞাত পরিচয় ওই মানুষটিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ পরে থাকতে দেখা মিলেছে আর এর ফলেই বর্তমানে সৃষ্টি হয়েছে একের পর এক বিতর্কের। এক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে একটি ঘোষণা পর্যন্ত করা হতে শোনা গিয়েছে। যেখানে চা, ঝাল মুড়ি এবং ঘুগনি খেতে আহ্বান জানানো হচ্ছে মানুষকে।
ঘটনার সূত্রপাত কি? আসলে সম্প্রতি কর্মসংস্থানের নয়া দিশা উন্মোচন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১০০০ টাকা সংগ্রহ করে একটা কেটলি এবং কয়েকটা মাটির ভাড় নিন। প্রথম সপ্তাহে কয়েকটা বিস্কুট নিন। তারপর মাকে ঘুগনি তৈরি করতে বলুন। তার পরের সপ্তাহে তেলে ভাজা। একটা টুল আর টেবিল নিয়ে বসে যান। পুজোয় বাংলায় এত মানুষ ঘুরতে আসে, দরকার পড়লে ঝাল মুড়ির কৌটো নিয়ে নিন। সঙ্গে বাদাম আর ছোলা। যা বিক্রি হবে, কুলোতে পারবেন না।”
মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের পরেই তাঁর সমালোচনায় নামে বিরোধী দলগুলি। এক্ষেত্রে চা, ঘুগনি, ঝালমুড়ি বিক্রয় করে তাঁর দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিতেও দেখা যায় একাধিক বিরোধী নেতা মন্ত্রীদের। সেই সূত্র ধরেই সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ পরে অজ্ঞাত পরিচয় ওই মানুষটি এহেন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই ভিডিওটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে এটিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক নতুন কোন মোড নেয়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।