একই ক্লাসে এক শিক্ষক শেখাচ্ছেন হিন্দি, অন্যজন উর্দু! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল

বাংলাহান্ট ডেস্ক: দুই শিক্ষক পড়াচ্ছেন একই ক্লাসে। একজন শেখাচ্ছেন হিন্দি, আরেকজন একইসঙ্গে আউড়ে চলেছেন উর্দু। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার বিহারের একটি সরকারি স্কুলের এমনই এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সংবাদসংস্থা ANI-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্কুলটির নাম আদর্শ মিডল স্কুল। আর তারপরই কিছুতেই যেন থামছেই না বিতর্কের ঝড়।

কিন্তু, পড়ুয়াদের কেন এমন বিড়ম্বনার মুখে ফেলা হয়েছে ? আর কেনই বা একই ক্লাসে দুটি বিষয় পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এসব প্রশ্ন উঠতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তরফে বিষয়টি কোনরকমে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছে । আদর্শ মিডল স্কুলের সহকারী শিক্ষক কুমারী প্রিয়াঙ্কা ANI-কে বলেন, “2017 সালে আমাদের স্কুলে উর্দু প্রাথমিক বিদ্যালয়কে তুলে আনার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা দফতর। তাই শিক্ষকরা একটা ক্লাসেই হিন্দি ও উর্দু পড়ান।”

একই ক্লাসের মধ্যে দুটি বিষয়কে একসঙ্গে পড়ানোর অভিনব কায়দা দেখে হতবাক নেটিজেনরা। একটি ব্ল্যাকবোর্ডের মাঝখানে দাগ টেনেই একটা ভাগে হিন্দি শিক্ষক লিখছেন। পাশাপাশি অন্য ভাগে লেখা হচ্ছে উর্দু। এভাবে পড়ুয়ারা আদৌ কতটা শিখবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

নেটিজেনদের অনেকেই ট্যুইটারে এই ভিডিয়ো শেয়ার করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। একজন নীতীশ কুমারের উদ্দেশে লিখেছেন, “স্যার, আশা করি এটা আপনার গোচরে আসবে। দয়া করে সরকারি স্কুলে শিক্ষা সংস্কার করুন। দেখুন, যাতে রাজ্যের কোনও পড়ুয়াকে সরকারি স্কুলে আরও ভাল শিক্ষার প্রার্থনা নিয়ে আপনার কাছে আসতে না হয়। দয়া করে ওদের একটা ভালো ভবিষ্যৎ দিন।”

অন্যদিকে, ANI রিপোর্ট অনুযায়ী, আদর্শ মিডল স্কুল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে জেলা শিক্ষা আধিকারিক কমলেশ্বর গুপ্তা বলেন, “আদর্শ মিডল স্কুলের এনরোলমেন্ট কম হলে, একটা ঘর উর্দু প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ছেড়ে দেওয়া হবে। যদি আলাদা আলাদা ক্লাসের পড়ুয়াদের একই ঘরের একই ব্ল্যাকবোর্ডে পড়ানো হয়, সেটা মোটেই ভালো বিষয় নয়।”

সব মিলিয়ে, তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই পরিস্থিতিকে নেটিজেনরা বিহারের সরকারি স্কুলের চরম বেহাল দশা ছাড়া আর কিছু ভাবতে চাইছেন না।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর