বাংলাহান্ট ডেস্ক, ভাইরাল ভিডিও : ভারতীয়দের যে ট্যালেন্টের অভাব নেই তা আবার প্রমানিত হল নেটপাড়ায় সম্প্রতি ভাইরাল ভিডিওতে (viral video)। তবে এই ট্যালেন্ট নাচ, গান বা কোনো যন্ত্র তৈরির নয়। এই ট্যালেন্ট ‘জুগার’-এর।
‘জুগার’ বলতে সাধারণ ভাবে যা বোঝানো হয়ে থাকে তা হল, কোনো বস্তুর বদলে ভিন্ন প্রকারের বস্তু দিয়ে সেই বস্তুর চাহিদা মিটিয়ে নেওয়া। ঠিক যেমনটি করেছে এই দোকানি। হু হু করে দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই মহুর্তে যতখানি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায় ততই ভালো। কিন্তু ভারতের গ্রাম্য মুদি দোকানে তো স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বসানো নেই, প্রযুক্তি থাকলেও নেই টাকা৷
তবু কুছ পরোয়া নেই। ‘জুগার’ তো আছে৷ সাইকেলের চাকা, দড়ি, গামলা আর বেঞ্চ দিয়ে দোকানি নিজেই বানিয়ে ফেলল একটি কপিকল। চাকা ঘুরিয়ে দুর থেকেই দেওয়া নেওয়া চলবে মালপত্র ও টাকাকড়ির। আর সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হতেই মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। দেখুন অভিনব সেই যন্ত্র।
The boy from the village made a special JUGAD to maintain physical distance.#innovation #Talent @ParveenKaswan @umashankarsingh pic.twitter.com/KxtEn3Dun9
— 𝓑𝓱𝓪𝓻𝓪𝓽 𝓟𝓪𝓽𝓲𝓵 بھارت پاٹل 🇮🇳 (@BharatP44) August 3, 2020
কিছুদিন আগেই, করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে এক অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন এক দুধ বিক্রেতা৷ সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হতেই মুহুর্তে ভাইরাল হিয়েছিল। বাইকের পিছন দিকে অনেকগুলি দুধের ট্যাঙ্ক বাঁধা রয়েছে। সেগুলির মাঝখান থেকে একটি ফানেল রেখেছেন তিনি। সেটি একটি পাইপের সঙ্গে সংযুক্ত। ওই ফানেলে দুধ ঢালছেন, পাইপের মাধ্যমে তা সোজা ক্রেতার বাটির মধ্যে গিয়ে পড়ছে। তার ফলে ক্রেতার সঙ্গে বিক্রেতার দূরত্ব রয়েছে বেশ খানিকটা। তার ফলে করোনা সংক্রমণের সময় সংস্পর্শে আসার প্রয়োজনীয়তাই প্রায় থাকছে না।
“Necessity is the mother of invention.”
In India: जुगाड़ पहले से तैयार है. आप काम बताओ. #Social_Distancing pic.twitter.com/ElcljWiDvK— Awanish Sharan 🇮🇳 (@AwanishSharan) May 7, 2020