‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে” গেয়ে চোখের জলে থমাস কাপের ইতিহাস উদযাপন ভারতীয় দলের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজ থেকে ঠিক মাস দশেক আগে প্রথমবার টোকিও অলিম্পিকের ট্র্যাকে বেজেছিল “জন গণ মন।” সেই স্মৃতি আজও আমাদের মনে গেঁথে রয়েছে। তবে, সেই রেশকে বজায় রেখেই ফের একবার সূচিত হল ভারতের জয়গান! এবার থমাস কাপের মঞ্চে কার্যত ইতিহাস তৈরি করে ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের সাক্ষী থাকলেন সবাই।

শুধু তাই নয়, তেরঙাকে স্যালুট করে ভেজা চোখ নিয়েই “জন গণ মন”-র সুরে গলা মেলালেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা। এমনকি, ইতিমধ্যেই এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেক ভারতীয়র কাছেই নিঃসন্দেহে এটি একটি রোমাঞ্চকর ব্যাপার। মূলত, রবিবার ইন্দোনেশিয়াকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবার থমাস কাপ জিতেছে ভারত।

টানটান উত্তেজনার মধ্যে তৃতীয় ম্যাচের দ্বিতীয় গেমে কিদাম্বি শ্রীকান্তের শটের রিটার্ন না আসতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ভারতীয় শাটলাররা। এমনকি, কোর্টেই চলে আসেন পুরো ভারতীয় দল। আর এভাবেই নিজেদের তৈরি করা ইতিহাসকে উপভোগ করতে থাকেন সকলেই। এমনকি, গ্যালারিতেও ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের রেশ।

মূলত, পাঁচটি ম্যাচ থাকলেও ঐতিহাসিক সোনা জয়ের জন্য তিনটি ম্যাচই যেন যথেষ্ট ছিল ভারতের কাছে। শুধু তাই নয়, ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন ইন্দোনেশিয়াকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েই প্রথমবার থমাস কাপ জিতে ইতিহাসের পাতায় দিনটি স্মরণীয় করে রাখল ভারত। পাশাপাশি, এ বারের টুর্নামেন্টে তেমন ছন্দে না থাকলেও আজকের শুরুটায় নিজের সেরাটা উজাড় করে দেন লক্ষ্য সেন।

ঠিক তারপরেই অবিশ্বাস্যভাবে প্রত্যাবর্তন করেন সাত্যিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি ও চিরাগ শেটি। দ্বিতীয় গেমে ম্যাচ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকলেও সেখান থেকে ভারতকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তাঁরা। আর তারপরে বাকি কাজটুকু খুব সহজেই সেরে নেন অভিজ্ঞ কিদাম্বি শ্রীকান্ত।

https://twitter.com/anil_getz/status/1525793925143101440?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1525793925143101440%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fzeenews.india.com%2Fbengali%2Fsports%2Fthomas-cup-2022-indian-badminton-players-cried-while-singing-national-anthem_431583.html

ঐতিহাসিক এই জয়ের পর পোডিয়ামে ভারতীয় দলের হাতে পদক, স্মারক এবং থমাস কাপ তুলে দেওয়া হয়। আর ঠিক তারপরেই আসে সেই আবেগঘন মুহূর্ত। জাতীয় সঙ্গীতের সুরে গলা মেলাতে গিয়ে “আন্ডারডগ” শ্রীকান্ত-লক্ষ্য সেনদের চোখ ভিজে আসে জলে। বহু দিনের অধ্যাবসায়, জেদ এবং পরিশ্রমের ফলেই সাত্যিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি ও চিরাগ শেটিদের হাত ধরে কার্যত এক ইতিহাসের সাক্ষী থাকল সমগ্ৰ ভারতবাসী।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর