সময়ের মধ্যেই পৌঁছতে হবে! বৃষ্টিতে ভিজেই রওনা ডেলিভারি বয়ের! ভাইরাল ভিডিও মন কাড়ছে সবার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কর্মজীবনে তাঁদের নেই কোনো বিশ্রাম। পাশাপাশি, রয়েছে সময়ের মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার তাড়াও। আর তাই তো রোদ-বৃষ্টি-ঝড়কে উপেক্ষা করেই তাঁরা ছুটে চলেন রাস্তায়। হ্যাঁ, আমরা ডেলিভারি বয়দের প্রসঙ্গই তুলে ধরছি। মোবাইলের একটা ক্লিকে খাবার অর্ডার দেওয়ার পরেই কার্যত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের হাতেই অর্পিত হয়। আর সেই কারণেই বিশ্রাম নেওয়ার সময় প্রায় থাকে না বললেই চলে। এমনিতেই, এই সংক্রান্ত নানান ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তাঁদের কর্মজীবনের ব্যস্ততার প্রসঙ্গটি তুলে ধরা হয়।

তবে, সম্প্রতি আরও একটি ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। যেখানে, দেখা গিয়েছে যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অর্ডার পৌঁছে দিতে কার্যত মাঝ রাস্তায় কাক ভেজা হয়ে জ্যামের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক ডেলিভারি বয়। আর এই দৃশ্য দেখেই রীতিমতো আবেগে ভেসেছেন নেটিজেনরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান যুগে আমরা দিনের বেশ কিছুটা সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটাতে পছন্দ করি। কারণ এটি এমন একটি মাধ্যম যেখানে দেশ-বিদেশের একাধিক প্রয়োজনীয় খবরের আপডেটের পাশাপাশি পাওয়া যায় বিভিন্ন মজাদার পোস্ট। সর্বোপরি, এখানে প্রতিদিনই ভাইরাল হতে থাকে হাজার হাজার ভিডিও। যেগুলির মধ্যে এমন কিছু ভিডিও থাকে যা সরাসরি স্পর্শ করে মনের মণিকোঠাকে। এই ভিডিওটির ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি।

কি দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে? সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, প্রবল বৃষ্টির মাঝেই এক্কেবারে ভিজে অবস্থাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক ডেলিভারি বয়। পিঠে ব্যাগ নিয়েই তুমুল বৃষ্টির মধ্যে অর্ডার পৌঁছতে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। পাশাপাশি আরও দেখা গিয়েছে যে, রাস্তায় একটি জ্যামের মধ্যেই বাকি গাড়িগুলির সাথে তিনিও দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এমতাবস্থায় ছাতার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই ভিজতে হচ্ছে তাঁকে।

আর এই দৃশ্যই তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি, ভিডিওটি দেখার জন্য পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দর্শক এবং লাইক সংখ্যাও। প্রাকৃতিক বাধাকে উপেক্ষা করে জীবিকার টানে ওই ব্যক্তি যেভাবে তাঁর কাজে নিয়োজিত রয়েছেন সেজন্য তাঁকে কুর্ণিশও জানিয়েছেন সকলে। সর্বোপরি, ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের মন্তব্য জানিয়েছেন নেটাগরিকরা। এই প্রসঙ্গে একজন লিখেছেন, “আপনাকে দেখে সত্যিই অনুপ্রাণিত হলাম”। পাশাপাশি অন্য আরেকজন লিখেছেন, “নিজের দায়িত্ববোধের আগে সমস্ত কিছুই ফিকে হয়ে যায়। আপনাকে স্যালুট।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর