জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছিল কুকুর! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রাণ বাঁচালেন শ্রমিক! তুমুল ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের পৃথিবীতে প্রত্যেকটি প্রাণীরই সমান ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। এমনিতেই সারা বিশ্বজুড়ে পশু-পাখিদের ওপর ক্রমবর্ধমান শিকার এবং নির্যাতনের প্রসঙ্গ আমরা প্রায়ই শুনতে পাই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং পশুপ্রেমীরা বিভিন্ন প্রতিবাদ দেখালেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা স্তিমিত হয়ে যায়। আবার কোনো সময়ে নিজের জীবন বিপন্ন করেও অবলা প্রাণীদেরকে বাঁচাতে দু’বার ভাবেন না কিছু মানুষ।

আর যেই কারণে এখনও বজায় রয়েছে পারস্পরিক সাম্যাবস্থা। সম্প্রতি এমনই একটি দৃশ্য সামনে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে প্রবল জলের স্রোতে ভেসে যাওয়া এক কুকুরকে বাঁচিয়েছেন সেখানে কর্মরত এক শ্রমিক। এমনকি, এই ভিডিওটি ভাইরালও হয়েছে নেটমাধ্যমে। এদিকে, এই মন ভালো করা ভিডিওটি স্বাভাবিকভাবেই পছন্দ হয়েছে নেটিজেনদের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে আমাদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আমরা বিভিন্ন ধরণের এবং একাধিক কন্টেন্টের ভাইরাল হওয়া ভিডিও খুঁজে পাই। যেগুলি দেখতে পছন্দও করেন নেটিজেনরা। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে পশু-পাখি সংক্রান্ত ভিডিওগুলি নেটমাধ্যমে এলেই তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে পৌঁছে যায় সকলের কাছে।

এই ভিডিওটির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বর্তমানে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একটি ক্যানেলে প্রচুর স্রোতে জল বইছে। এদিকে, ওই জলের তোড়েই পড়ে যায় একটি কুকুর। এমতাবস্থায়, জেসিবির বাকেটে নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই কুকুরটিকে বাঁচাতে উদ্যোগী হন এক শ্রমিক।

রীতিমত ঝুঁকে পড়ে তীব্র স্রোতের গতিকে উপেক্ষা করেই তিনি কোলে তুলে নেন কুকুরটিকে এবং আস্তে আস্তে তাঁকে ওপরে নিয়ে আসে জেসিবিটি। একটা সময়ে ওপরে উঠে তিনি কুকুরটিকে নিচে নামিয়ে দেন। সেখানেই দেখা যায় অক্ষত রয়েছে কুকুরটি।

https://www.facebook.com/watch?v=718991075799307

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, এই দুর্ধর্ষ ঘটনাটি ঘটেছে ইকুয়েডরে। সেখানে এক নির্মাণকর্মীই নির্ঘাত বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন ওই সারমেয়টিকে। এদিকে, এই ভিডিওটিই বর্তমানে তুমুল ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। ইতিমধ্যেই ২৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন ভিডিওটি। পাশাপাশি, ৪৯ হাজারেরও বেশি জন লাইক করেছেন এটি। এছাড়াও, ভিডিওটি দেখে ওই শ্রমিকের মানসিকতাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলেই।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর