ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা পুলিশকর্মীর, গলায় হাত ঢুকিয়ে বার করলেন অফিসার! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল হরিয়ানার (Haryana) ফরিদাবাদ থেকে। জানা গিয়েছে, সেখানে পুলিশের (Police) এক সাব ইন্সপেক্টর ঘুষ (Bribe) নেওয়ার সময় হাতেনাতে ভিজিল্যান্স অফিসারদের (Vigilance Officers) হাতে ধরা পড়ে যান। কিন্তু, তারপরে তিনি যা কান্ড ঘটিয়েছেন সেটাই উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জানা গিয়েছে, ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়ে ঘুষের টাকা সরাসরি মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলার চেষ্টা করছিলেন ওই সাব ইন্সপেক্টর।

তবে, থেমে থাকেন নি ভিজিল্যান্স অফিসাররাও। সাব ইন্সপেক্টরটির মুখে সঙ্গে সঙ্গে আঙ্গুল ঢুকিয়ে সেই টাকা বের করে আনেন তাঁরা। এদিকে, ইতিমধ্যেই এই পুরো ঘটনাটির ভিডিও তুমুলগতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমতাবস্থায়, একজন পুলিশ অফিসারের এহেন কাণ্ডকারখানা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে সকলেরই।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের নাম হল মহেন্দ্র উলা। তিনি হরিয়ানা পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। এমতাবস্থায়, অভিযোগ উঠেছে যে, একটি মোষ চুরির মামলায় ঘুষ নেওয়া সময়েই হাতেনাতে ধরা পড়ে যান তিনি। শুধু তাই নয়, ওই মোষ মালিককে মহেন্দ্র জানিয়েছিলেন ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিলেই এই মামলাটির তদন্ত করা হবে।

এদিকে, উপায় না পেয়ে প্রথমে পুলিশকে ছ’হাজার টাকা দেন মোষ মালিক। তবে, বাকি টাকা দেওয়ার আগে পুরো বিষয়টি ভিজিল্যান্স অফিসারদের কাছে জানিয়ে দেন তিনি। এমতাবস্থায়, ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই মহেন্দ্র উলার পর্দাফাঁস করতে ফাঁদ পাতে পুলিশ। শুধু তাই নয়, ঘুষের বাকি টাকা দেওয়ার টোপ দিয়ে তাঁকে ডেকেও নিয়ে আসা হয়। আর সেই মুহূর্তেই ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়ে যান তিনি।

প্রথমে এই ঘটনায় মহেন্দ্র কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও পরে অবস্থা বেগতিক বুঝে ঘুষের টাকা সরাসরি মুখে ভরে গিলে ফেলার চেষ্টা করেন তিনি। ঠিক তখনই সেখানে উপস্থিত ভিজিল্যান্স অফিসাররা সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মুখে হাত ঢুকিয়ে চার হাজার টাকা বার করেন আনেন। এমতাবস্থায়, এই পুরো দৃশ্যই কার্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে, সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে গিয়ে যেভাবে ওই পুলিশকর্মী ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়লেন তা দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর