হোমওয়ার্ক না করায় শিশুকে হাত-পা বেঁধে রোদের মধ্যে ফেলে রাখলেন মা! অবাক গোটা দেশ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে তীব্র দাবদাহের ফলে জর্জরিত সকলেই। এমতাবস্থায় বৃষ্টির অপ্রতুলতা এই ঘটনাকে আরও কঠিন করে তুলেছে। এমনকি দেশের কিছু কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির পারদও ছুঁয়েছে। যার ফলে তীব্র রোদে দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে বেরোনোই রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সকলের কাছে। যদিও, ঠিক এই আবহে একটি হৃদয়বিদারক দৃশ্য এবার সামনে এসেছে।

এমনকি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা। মূলত ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, হোমওয়ার্ক করেনি বলে একটি বাচ্চা মেয়েকে তীব্র রোদের মধ্যেই ফেলে রেখেছেন তার মা। এমনকি তার হাত এবং পা বাঁধা ছিল। এদিকে, এই ভিডিও দেখেই রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন সকলে।

এমনিতেই হোমওয়ার্ক বা পড়াশোনা করার বিষয়টি ছোটবেলায় বুঝতে পারেনা বাচ্চারা। কিন্তু, তার খেসারত যে এমন ভাবে দিতে হবে তা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। এমতাবস্থায়, তীব্র রোদে বাচ্চাটিকে কষ্ট পেতে দেখে ওই নিষ্ঠুর মায়ের আচরণ গভীর সমালোচনার মুখে পড়েছে।

কি দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে?
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, বাড়ির ছাদে এক্কেবারে রোদের মধ্যে একটি বাচ্চা মেয়ে হাত এবং পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এদিকে গরমের ফলে রীতিমতো ছটফট করেছে সে। পাশাপাশি তীব্রভাবে কাঁদতে থাকে বাচ্চাটি। যদিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না কেউই। প্রখর রোদে ওইভাবেই দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকে সে। আর এই ভিডিওটিই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এই নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটেছে দিল্লিতে:
প্রথমে জানা গিয়েছিল, এই নিষ্ঠুর ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির করাওয়াল নগর এলাকায়। এমনকি, খবর পেয়েই, পুলিশ ওই এলাকায় তদন্ত করলেও সেখানে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। যদিও পরে পুলিশ জানতে পারে যে, ভিডিওটি টুকমিরপুর গলি নম্বর ২-এর খেজুরি খাস এলাকার। এরপর ওই শিশুটির বাড়িতে পুলিশ পৌঁছলে পুরো বিষয়টি সামনে আসে।

হোমওয়ার্ক না করার জন্য শাস্তি:
পুলিশ এলে মেয়েটির মা বলেন, ওই শিশুটি হোমওয়ার্ক করতে চাইছিলনা। তাই তাকে ৫ থেকে ৭ মিনিট রোদে ফেলে শাস্তি দেওয়া হয় এবং পরে তাকে সেখান থেকে নিয়েও আসা হয়। এদিকে, এই পুরো ঘটনায় ওই শিশুটির মাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন সকলে। পাশাপাশি, পুলিশও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর