পরম যত্নে পথ কুকুরকে দইভাত খাইয়ে দিচ্ছেন মহিলা! ভাইরাল ভিডিও দেখে আবেগাপ্লুত সবাই

বাংলা হান্ট ডেস্ক: “জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”, সমস্ত জীবজগতের প্রতি সমান ভালোবাসা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই যুগনায়ক স্বামী বিবেকানন্দ দিয়েছিলেন এই অগ্নিমন্ত্রটি। অর্থাৎ, মানুষের পাশাপাশি প্রতিটি জীবকুলের সেবাতেই যে “জীবজ্ঞানে শিবসেবা” সম্ভব তা বলেছিলেন তিনি। যদিও, বর্তমান সময়ে বহু ক্ষেত্রেই এমন সব ঘটনা সামনে আসে যা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

তবে, তারও পাশাপাশি কিছু মন ভালো করা ঘটনাও সমানভাবে উপস্থাপিত হয়। আর যেগুলিকে ঘিরেই অনুরণিত হয় এই অমোঘ আপ্তবাক্যগুলি। সম্প্রতি ঠিক সেইরকমই এক প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে এক পথ কুকুরকে পরম আদরে ভাত খাইয়ে দিচ্ছেন এক মহিলা। আর এই চিরন্তন ভালোবাসার দৃশ্য খুব সহজেই মন জয় করে নিয়েছে সবার।

পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে নেটমাধ্যমে। যা দেখে কার্যত আবেগে ভেসেছেন নেটিজেনরা। আসলে, বর্তমান সময়ে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই বিভিন্ন সব বিষয়ের একাধিক ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখতে পাই। কিন্তু, সেগুলির মধ্যেই এমন কিছু ভিডিও থাকে যেগুলি দেখার পর তা খুব সহজেই পৌঁছে যায় মনের মণিকোঠায়। এই ভিডিওটির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একটি রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মের ওপর বসেই পরম আদরে একটি পথ কুকুরকে খাওয়াচ্ছেন একজন মহিলা। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন টকদই মাখানো ভাত খেতেই পছন্দ করে সে। তাই, ওই কুকুরটিকে নিজের হাতে দইভাত মাখিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন ওই মহিলা। আর কুকুরটিও সেটি চুপচাপ বসে খেয়ে নিচ্ছে।

পাশাপাশি, ওই মহিলা আরও জানান সে মাংস ভাত খেতে পছন্দ করেনা। তাই, দইভাতই প্রিয় হয়ে উঠেছে কুকুরটির কাছে। এমনকি, সেটির নাম “কুট্টুস” বলেও জানান ওই মহিলাটি। এদিকে, এই ভিডিওটিই বর্তমানে ঝড় তুলেছে নেটমাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, ভাইরাল এই ভিডিওটি দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে রেকর্ড করা হয়েছে।

পাশাপাশি, ভিডিওটি ইতিমধ্যে ৩৫ হাজরেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন। এছাড়াও, নেটিজেনরা এই ভিডিও দেখে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। ওই মহিলা যেভাবে “কুট্টুস”কে ভালোবেসে পরম আদরে খাইয়ে দিচ্ছেন সেজন্য তাঁকে সাধুবাদও জানিয়েছেন সবাই।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর