পিকনিক করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! যাত্রী নিয়ে খাদে পড়ল গাড়ি, ভাইরাল হাড়হিম করা ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কথায় আছে রাখে হরি তো মারে কে! সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের লোধিয়া কুন্ড জলপ্রপাতের (Lodhiya Kund & Fall) কাছে এমনটাই ঘটেছে। আর এক্ষেত্রে এক পরিবারের কাছে হরিরূপে আবির্ভূত হয়েছে স্থানিয়রা। সম্প্রতি এমনই এক লোমহর্ষক দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখে রীতিমত গায়ে কাঁটা দিচ্ছে সকলের। কী এমন দেখা যাচ্ছে সেই ভাইরাল ভিডিওতে?

ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জানা গেছে, এই ভিডিওটি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের কাছে অবস্থিত একটি পর্যটন স্পট লোধিয়া কুন্ড জলপ্রপাতের। সেখানেই পিকনিক করতে এসেছিল এক পরিবার। তারা গাড়ি নিয়েই এসেছিলেন। কোন কারণে গাড়ি ঠিকভাবে লক করেননি চালক। এরপর সেটিকে আর বাগে আনতে পারেননি তিনি। গাড়ি সোজা এসে পৌঁছায় জলপ্রপাতের খাদের কিনারায়।

স্বামী-স্ত্রী কোনরকমে গাড়ির বাইরে বেরিয়ে এলেও গাড়ির মধ্যেই আটকে ছিল বছর ১২-র একটি মেয়ে। গাড়ির চালক অর্থাৎ পিতা শেষ পর্যন্ত প্রাণপন চেষ্টা করেছিলেন গাড়ির দরজা খুলে মেয়েকে বের করে আনার। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয়, তার আগেই গাড়ি পড়ে যায় জলের মধ্যে। সাথে খাদের মধ্যে পড়ে যায় ঐ ব্যক্তিও।

এমতাবস্থায় সেখানে জড়ো হওয়া লোকজন গাড়িটি ডুবে যেতে দেখে তারাও তা বাঁচাতে পুলে ঝাঁপ দেন। সুমিত ম্যাথিও বলে এক ব্যক্তি অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এক্ষেত্রে। তিনি আগুপিছু কিছু না ভেবেই ঝাঁপ দেন জলে। উদ্ধার করেন বাবাকে। ওদিকে বাকি লোকজন ততক্ষণে গাড়ি থেকে মেয়েকেও বের করে এনেছেন। সিমরোল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে লোধিয়া কুণ্ডে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা যাচ্ছে জল থেকে টেনে আনার পর দুজনকেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, খাদের কিনারায় এসে মুখে ঠিকভাবে গাড়ি লক না করে পার্কিং করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। বিজলপুরের ওই দম্পতি তাদের মেয়েকে নিয়ে সেখানে বেড়াতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে। এরপর বাবা নিজেই খাদের পাড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন। হ্যান্ড ব্রেক না লাগিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে নেমে পড়েন তিনি।

এবং ১২ বছরের মেয়েকে গাড়িতেই বসিয়ে রেখেছিলেন। এরপর হঠাৎ পিচ্ছিল হওয়ায় গাড়িটি পুলের দিকে যেতে শুরু করে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য উদ্ধারকারী সুমিত ম্যাথিও-র সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ‘জলপ্রপাতের মধ্যে একটা গাড়ি পড়ে যেতে দেখলাম। জলে পড়ে যাওয়া লোকটি বের হতে পারছে না দেখে আমি তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দিলাম। বাবা-মেয়ে দুজনেই সুস্থ আছে।’

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর