একপাশে খাদ, একপাশে পাহাড়! সরু রাস্তার মধ্যে গাড়ির ইউটার্ন! রুদ্ধশ্বাস কেরামতির ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সমতলে গাড়ি চালানো খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়। সামান্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই যে কেউই খুব সহজে গাড়ি চালাতে পারেন এখানে। কিন্তু, সমতল ছাড়িয়ে যখন প্রসঙ্গটা পাহাড়ের আসে সেখানে গাড়ি চালানোর প্রতি মুহূর্তেই থাকে বিরাট চ্যালেঞ্জ!

পাহাড়ের চড়াই-উৎরাইতে গাড়ি চালানো মোটেও সহজ কাজ নয়। নতুন ড্রাইভাররা তাই এড়িয়েই চলেন পাহাড়ি রাস্তা। এছাড়াও, আপনার গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা যদি শহর থেকে হয়, তবে পাহাড়ে গাড়ি চালাতে আপনার সমস্যা হবেই হবে। এখানে গাড়ি চালাতে গেলে তীক্ষ্ণ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চালক বা স্থানীয় ড্রাইভারদের প্রয়োজন হয়।

আমাদের দেশে হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ড পরিবহন, ভারতের এমন একটি পরিবহন বিভাগ, যার ড্রাইভারদের সুপারম্যানদের সাথে তুলনা করা হয়। যেভাবে আঁকাবাঁকা, সঙ্কীর্ণ পাহাড়ি রাস্তায় তাঁরা বড় বড় যানবাহন নির্দ্বিধায় চালিয়ে নিয়ে যান, তা দেখে সকলেই তাঁদের বিরাট প্রশংসা করেন।

তবে, সম্প্রতি একটি ভিডিও সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, একদম সরু একটি পাহাড়ি রাস্তায় প্রকান্ড একটি SUV কে ঘুরিয়ে নিচ্ছেন এক চালক। এমনকি, একটা সময় ওই গাড়িটির পেছনের অংশ চলে আসে একদম খাদের কিনারায়। ওই অবস্থা থেকেই গাড়িটির প্রতি নিয়ন্ত্রণ রেখে সেটিকে ঘুরিয়ে নেন চালক।

রুদ্ধশ্বাস ওই ভিডিও দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন নেটিজেনরা। ইউটিউবে প্রকাশিত ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, একটি সঙ্কীর্ণ পাহাড়ি রাস্তার একদিকে পাহাড় এবং অন্যদিকে খুব গভীর একটি খাদ।

এমতাবস্থায়, ওই রাস্তাতেই অসম আত্মবিশ্বাসী এক চালক ঘুরিয়ে নিচ্ছেন একটি SUV গাড়ি। SUV টির সামনের অংশটি পাহাড়ের দিকে এবং পেছনের অংশটি খাদের দিকে ছিল। গাড়িটি বাঁকানোর সময় গাড়ির পেছনের চাকাগুলি খাদের দিকে প্রায় শূন্যে ঝুলতে থাকে। তবুও, ড্রাইভার একটি অস্বাভাবিক উপায়ে SUV টি ঘুরিয়ে নেন।

অনুমান করা হচ্ছে যে, এই ঘটনাটি সম্ভবত জাপানের এবং গাড়িটি মিতসুবিশি কোম্পানির। তবে, এই ভিডিওটি দেখে এটা স্পষ্ট যে, ঐ গাড়িটির চালক নিঃসন্দেহে যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং গাড়ি চালানোর প্রতি আত্মবিশ্বাসীও বটে। মোট ১ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি দেখে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি, অনেকে মজার ছলে ওই SUV-র ড্রাইভারকে দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের সাথেও তুলনা করেছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর