গরুর উপর উঠে অত্যাচার খুদের, চুপ করে সইল চারপেয়ে! এটাই মাতৃস্নেহ বলল নেটিজেনরা! ভাইরাল ভিডিও

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: শিশুরা হয় অপাপবিধ্য। পাশাপাশি, তাঁদের মনও থাকে অত্যন্ত পবিত্র। যার কারণে মানুষের পাশাপাশি তাদেরকে পছন্দ করে জীবজন্তুরাও। কারণ, তাদের অকৃত্রিম স্নেহের পরশে পূর্ণতা পায় চিরন্তন বন্ধুত্ব। যে বন্ধুত্বের ভাষা আকৃষ্ট করে অবলাদেরকেও। বর্তমানে ঠিক এইরকমই এক মন ভালো করা ভিডিও সামনে এসেছে। আর যেটি দেখে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সকলে।

এমনকি, ভিডিওটি ভাইরালও হয়েছে নেটমাধ্যমে। বর্তমান বিশ্বে যখন যুদ্ধের আবহে প্রাণনাশ এবং শক্তি প্রদর্শনে মেতে উঠেছেন কিছু মানুষ সেখানে এইরকম ভিডিও যেন নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করে সকলের মনে। পাশাপাশি, সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে যে বন্ধুত্বের জয়গানই সুচিত হয় তা যেন ফের একবার প্রমাণিত হল ওই ভিডিওটিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে আমাদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে প্রতিনিয়তই হাজার হাজার ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ভিড় পরিলক্ষিত হয়। নাচ-গান-কমেডি সহ একাধিক বিষয়ের এই ভিডিওগুলি মনোরঞ্জনের জন্য দেখতেও পছন্দ করেন নেটিজেনরা। তবে, মাঝে মাঝে সেখানে এমন কিছু ভিডিও উপস্থিত হয়ে যা দেখে রীতিমত আবেগাপ্লুত হয়ে যান সকলে। পাশাপাশি, পশু-পাখির সঙ্গে মানুষের আত্মিক বিষয়টিও ফুটে ওঠে সেখানে।

বর্তমান ভিডিওটিতেও সেটি পরিলক্ষিত হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একটি শিশু মনের আনন্দে খেলে বেড়াচ্ছে। তবে তার খেলার সঙ্গী হল একটি গরু। তার সাথেই খেলায় মেতে উঠেছে ওই শিশুটি। এমনকি, একটা সময়ে গরুটির ঘাড়ে উঠে পরম আনন্দে বসতে দেখা যায় শিশুটিকে। পাশাপাশি, গরুটিও যেন উপভোগ করতে থাকে এই খেলা। শিশুটির খেলার সাথী হিসেবে সঙ্গ দিতে থাকে সেও।

গরুটিও আদর করতে থাকে তার এই খুদে বন্ধুকে। এদিকে, এই ভিডিওটিই বর্তমানে বিপুল গতিতে ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে। চোখ জুড়ানো এই বন্ধুত্ব খুব সহজেই নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। এখনও পর্যন্ত ভিডিওটি প্রায় ৯৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন।

পাশাপাশি, ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ লাইক করেছেন এটি। অকৃত্রিম এই বন্ধুত্বের দৃশ্য দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটাগরিকরা। একজন কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, “সত্যিই কি সুন্দর দৃশ্য!” এছাড়াও আরেকজন লিখেছেন, “কিছু কিছু মানুষের থেকে পশু-পাখি সত্যিই ভালো।” এক কথায়, ভিডিওটি মন জিতে নিয়েছে সকলেরই।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X