বাংলাহান্ট ডেস্ক : শখ বড়ই বালাই। সেই শখ মেটাতে গিয়েই এবার বেজায় বিপাকে পড়লেন এক মার্কিন মহিলা বিধায়ক। নিজের বিকিনি পরে (Dance with Bikini) নাচের এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন ওই মহিলা বিধায়ক (Tiara Mack)। তারপরই মানুষ তাঁকে নিয়ে ট্রোল করা শুরু করেন। এরপর অবশ্য এক এক করে সমস্ত সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি।
টিয়ারা ম্যাক নামে ২৮ বছরের ওই মার্কিন বিধায়ক রোড আইল্যান্ডের ডিস্ট্রিক্ট ৬-এর প্রতিনিধিত্ব করেন। নিজের এলাকার মানুষকে নিজের প্রতি আকর্ষিত করার জন্য বিকিনি পরে নাচের ভিডিও আপলোড করেন। কিন্তু যখন মানুষ এই ভিডিও দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, তখনই তিনি নিজেকে বাঁচাবার চেষ্টা করেন। জানা যাচ্ছে, টিয়ারা মার্ক ডেমোক্রেটিক পার্টির বিধায়ক। টিকটকে তিনি যে ভিডিও আপলোড করেন সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিকিনি পরে নাচছেন তিনি। আপলোডের সময় ভিডিওটির নিচে লিখেও দেন, ‘ব্ল্যাক আইল্যান্ডে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টায় এক দক্ষ সেনেটর। ভিডিওটির শেষে আবার টিয়ারাকে বলতে শোনা যায় ‘ভোট ম্যাক’। অর্থাৎ এই ভিডিওকে তিনি নির্বাচনী প্রচারের অঙ্গ বানিয়েছেন।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় টিয়ারা ম্যাককে নিয়ে আলোচনা। একজন জনপ্রতিনিধিকে এই রকম ছোট জামা কাপড় দেখতে চাননি কেউই। এই ভিডিটির নিচেই উঠে আসে একের পর এক তীর্যক কমেন্ট। এক ব্যক্তি কমেন্টে লেখেন কেউ যেন আর না বলেন যে এই দ্বীপে মেয়েদের কোনও সম্মান করা হয় না।
View this post on Instagram
সমস্ত সমালোচনার জবাব ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ম্যাক দেন খুব হাসি মুখেই। মজার মুখের অভিব্যাক্তি করে তিনি বলেন, এটা কখনই নয়, যে আমার কাছে আইভি লিগের ডিগ্রি আছে, এটাও নয় যে আমি রাজ্য সেনেটরের পদে বসে আছি, আমার পরিচয়ের সঙ্গে এর কোনও যোগাযোগ নেই।’ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে টিয়ারা ম্যাক সেনেট পদে নির্বাচিত হন। মোট ৬০ শতাংশ ভোট নিয়ে তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করেন। টিয়ারাই হলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি এলজিবিটিকিউ (LGBTQ) শ্রেণী থেকে রোড আইল্যান্ডের সেনেটর নির্বাচিত হন।