বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের বুকে দ্বিতীয়বার যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর ধর্মের নামে একবার ফের বিতর্কের সৃষ্টি হল। এবার প্রকাশ্যে মুসলিম মহিলাদের তুলে এনে ধর্ষণ করার হুমকি দিতে দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের এক ধর্মগুড়ুকে। ভাইরাল ভিডিও ছড়িয়ে যেতেই গোটা রাজ্যে তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, বজরং মুনি দাস নামের এক হিন্দু মহন্ত প্রকাশ্যে একদল মানুষের সামনেই মুসলিম মহিলাদের ধর্ষণ করার হুমকি দিচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশের খাইরাবাদ শহরের মহর্ষি শ্রী লক্ষণ দাস উদাসীন আশ্রমের ওই মহন্ত এদিন শোভাযাত্রা চলাকালীন গাড়ির ভেতর থেকে বসে একদল মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, “যদি মুসলিমরা কোন হিন্দু মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে, তাহলে আমি তার সহ্য করব না। আমি নিজে মুসলিম মহিলাদের তুলে এনে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করব।”
তৎক্ষণাৎ দেখা যায়, গাড়ির বাইরে উল্লসিত জনতা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে ওঠে এবং চারিদিকে হাততালির বন্যা বয়ে যায়। বিতর্ক আরো বৃদ্ধি পায়, যখন সেই ভিডিওতে পুলিশের পোশাক পড়ে এক ব্যক্তিকে দেখা যায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে। এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরেও পুলিশ কিভাবে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রয়েছে, সে নিয়ে বাঁধে বিতর্ক।
জানা যাচ্ছে, 2 রা এপ্রিল নবরাত্রি উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা করা হয়। এবং সেই স্থানে কার্যত হুঙ্কার ছুড়ে দেন বজরং মুনি দাস নামের ওই ধর্মগুরু। এই বিতর্ক মাঝেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সরকারিভাবে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর না পাওয়া গেলেও সীতাপুর পুলিশের তরফে বলা হচ্ছে, একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই ঘটনার তদন্ত করছে এবং ঘটনার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
https://twitter.com/zoo_bear/status/1512036559960248323?s=20&t=831ksxcx9DCXHbC738kl2Q
যদিও ধর্মের নামে তির্যক মন্তব্য আমাদের দেশে নতুন নয়। কিছু মাস পূর্বে উত্তরাখণ্ড এর হরিদ্বারে এক ধর্ম সভা থেকে সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করা হয়। এমনকি ধর্মের নামে বিতর্ক সৃষ্টি করে মুসলিমদের হত্যা করার জন্য হিন্দুদের অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার নিদানও দেন সেখানকার ধর্ম সভায় উপস্থিত ধর্মগুরুরা। সেই কাণ্ডের মূল অভিযুক্তরা এখনো অধরা আর এর মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের বুকে এই নিন্দনীয় ঘটনা যে বিতর্ক বৃদ্ধি করবে, সেদিকেই মত বিশেষজ্ঞদের।