বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইন্ডিয়ান স্নেক ম্যান হিসেবে পরিচিত কেরলের (Kerala) ভাভা সুরেশ (Vava Suresh) নিজেই এবার সর্প দংশনের শিকার হয়েছেন। সোমবার কেরলের কোট্টায়াম (Kottayam) জেলায় উদ্ধার অভিযানের সময় 47 বছর বয়সী ভাভা সুরেশকে একটি কোবরা সাপে কামড়েছিল।
ভাভা সুরেশ সাপটিকে ধরে জঙ্গলে ছেড়ে দিতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় সাপটি তার হাঁটুতে কামড় দেয়। তবে অজ্ঞান হওয়ার আগেই সাপটিকে ব্যাগের ভিতর ঢোকাতে সক্ষম হয়েছিলেন সুরেশ। কেরলের মন্ত্রী ভিএন ভাসাভান জানিয়েছেন, তাঁকে কোট্টায়াম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা সঙ্কটজনক। তার জন্য সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Kerala | Famous snake catcher Vava Suresh sustained a snakebite (Cobra) near Kurichy in Kottayam
He is admitted to Kottayam Hospital, his condition is critical. All medical facilities are arranged for him: Kerala Minister VN Vasavan pic.twitter.com/sz8bo9Y8De
— ANI (@ANI) February 1, 2022
চিকিৎসকরা সোমবার জানিয়েছিলেন, ‘সুরেশকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় জ্ঞান হারিয়েছিলেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তাকে অ্যান্টি-ভেনম ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।” সবাই তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা সংকটজনক পরিস্থিতিতে থাকার পর বর্তমানে সুরেশের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটছে। আপাতত তাঁর রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, সুরেশের শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে।
সারা রাজ্যে সাপ ধরার ক্ষেত্রে সুরেশ খুবই জনপ্রিয়। কেউ বিপদজনক সাপ দেখলেই সুরেশকে ডাকে। সুরেশ সেখানে উপস্থিত হন এবং সাপটিকে ধরে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেন। ভাভা সুরেশ এ পর্যন্ত 50,000-র বেশি সাপ ধরেছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও ভাভা সুরেশকে বেশ কয়েকবার সাপে কামড়েছে। কিন্তু প্রতিবারই তিনি মৃত্যুকে পরাজিত করেছেন। এমনকি দুবার ভেন্টিলেটরেও ছিলেন তিনি।
আপনাকে জানিয়ে রাখি, 2020 সালে সুরেশ কেরলের পাঠানমথিট্টায় একটি মারাত্মক সাপ ধরার চেষ্টা করছিলেন। তিনি আগেও ওই প্রজাতির সাপ ধরেছিলেন। সাপটিকে দেখতে আশেপাশে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় জমায়। আর সেই সময় সেই বিপজ্জনক প্রজাতির পিট ভাইপার বিট সাপ সুরেশকে কামড়ায়।
সাপটি সুরেশের আঙুলে কামড় দেয়, এরপর সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সুরেশকে তার নিজ শহর তিরুবনন্তপুরমের একটি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাকে ৭২ ঘণ্টা চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিল। বলে দিই, পর্যন্ত তাকে তিনশ’র বেশি বিষাক্ত ও বিপজ্জনক সাপে কামড়েছে।