বাংলা হান্ট ডেস্ক : গাড়ি ছুটে চলেছে দুরন্ত গতিতে। স্পিডোমিটারের কাঁটা তখন ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা ছুঁইছুঁই। তারই মধ্যে এক যাত্রী বললেন,” ৩০০ কিলোমিটার স্পিড তোল। আজ মরলে চারজনেরই মরব।” এরপর সবার অট্টহাসি।
মোবাইল ফোনের ক্যামেরা তখন স্পিডোমিটারের দিকে। তাতে দেখা যাচ্ছে গাড়ির স্পিড ধীরে ধীরে বাড়ছে। ১০০ থেকে ১৫০,১৮০…। এত স্পিডেও কারুর মন ভরছিল না। যাত্রীরা গাড়ি চালককে নির্দেশ দিতে থাকেন গাড়ির স্পিড আরও বাড়ানোর জন্য।
হাইওয়ে দিয়ে চলা এই গাড়ি তখন যেন এরোপ্লেনের রূপ ধারণ করেছিল। গাড়ির গতির ফলে চারদিক হয়ে উঠেছিল আবছা। সেই মুহূর্তে এক যাত্রী নির্দেশ দিলেন,”আরো স্পিড তোল।” এরপর গাড়ির স্পিডোমিটারের কাঁটা যখন ২৩০ ছুঁয়েছে তখনই শেষ হয়েগিয়েছে ভিডিও।
পুলিশ সূত্র মারফত জানা গেছে, ওই গাড়িটিতে চারজন সওয়ারি ছিলেন।২৩০ কিমি বেগে চলা এই গাড়িটি ধাক্কা মারে সামনে থেকে আসা একটি ট্রাককে। মুহূর্তের মধ্যে এই গাড়িটি রীতিমতো খেলনায় পরিণত হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চারজনের।উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল।
জেলাশাসক রবীশ কুমার এবং পুলিশ সুপার সোমেন বর্মার তথ্য অনুসারে, মৃতদের নাম আনন্দ প্রকাশ (৩৫), অখিলেশ সিংহ (৩৫), দীপক কুমার (৩৭) এবং ভোলা কুশওয়া। পুলিশ জানতে পেরেছে মৃতরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা।
पूर्वांचल एक्सप्रेसवे पर 230 की स्पीड से गाड़ी दौड़ाकर कहा- आज चारों मरेंगे
(पार्ट-1) pic.twitter.com/acjyPePaSU
— UnSeen India (@USIndia_) October 15, 2022
জানা গেছে,ভোলা কুশওয়া নামের এক ব্যক্তি গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। তাকে দীপক নামের একটি যাত্রী গাড়িকে আরও স্পিডে চালানোর জন্য অনুরোধ করেন। সুলতানপুরের হালিয়পুর থানার কাছে শুক্রবার ভোর ৩টে ৫০মিনিটে এই দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গেছে, এই গাড়িটি বিহারের রোহতাস থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। শুক্রবার ভোর রাতে, লখনউ এর দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে গাড়িটির ধাক্কা লেগে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।