বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বিরাট কোহলিকে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা এবং উজ্জ্বল অধিনায়ক হিসাবে গণ্য করা হয়। তবে সম্প্রতি তার কেরিয়ারে এমন কিছু ব্যর্থতা সহ্য করতে হয়েছে যা তিনি কোনওদিন ভুলতে পারবেন না। ২০২১ সালটা বিরাটের জন্য একেবারেই ভালো যায়নি। যদিও অস্ট্রেলিয়ায় ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব তিনি অবশ্যই পেয়েছিলেন, তবে জয়ী ম্যাচগুলিতে অধিনায়ক ছিলেন অজিঙ্কা রাহানে।
২০১৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন, বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেটের অবিসংবাদিত সম্রাট হয়ে উঠেছিলেন। পরবর্তী ৩ বছর ধরে রবি শাস্ত্রীর সমর্থনে বিসিসিআইতে শক্তিশালী প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে, শুধুমাত্র বিরাট কোহলিই সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছিলেন এবং ভারতীয় দলের ভাল পারফরম্যান্স দেখে কেউ আপত্তি করেননি। যিনি আপত্তি করতে পারতেন সেই রবি শাস্ত্রীও পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন তাকে।
তারপরে সৌরভ গাঙ্গুলি এবং জয় শাহ ২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ডের লাগাম হাতে নিয়েছিলেন। এক বছর ধরে সবকিছু ঠিকঠাক চলে কিন্তু ২০২১ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কোহলি টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার তার কোনো ইচ্ছা ছিল না কিন্তু নির্বাচকরা দুই সাদা বলের ফরম্যাটে পৃথক অধিনায়ক রাখতে চাননি।
বিরাট কোহলি ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, যার পরে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী এবং তাদের মতপার্থক্য দেখা গিয়েছিল। উভয়েই প্রকাশ্যে একে অপরের বক্তব্য অস্বীকার করেছিলেন। লিমিটেড ওভারের অধিনায়কত্ব এখন রোহিত শর্মার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কারণ পাকিস্তানের কাছে বিরাটের ভারতের বিশ্রী হার। ফলস্বরূপ প্রতিযোগিতার নক আউটের আগের ভারতের বিদায়। তার আগে ইংল্যান্ড বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও তার নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারিয়ে হয়েছিল ভারতকে। বিরাট কোহলির কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ ছিল জবাব দেওয়ার। কিন্তু অফস্টাম্পের বাইরে বলে খোঁচা দেওয়ার দুর্বলতা এখনও যায়নি তার। ফলে আপাতত তিনি এখনও ফ্লপ।