বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মরু দেশে ফের একবার বিরাট বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে বিরাট বাহিনী। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পরপর পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে এখন বিশ্বকাপ থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে পড়েছে কোহলিদের। কার্যত এখন তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে তিন দুধের শিশু আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড এবং নামিবিয়ার দিকে। যা ভারতের মতো প্রথিতযশা দলের পক্ষে অত্যন্ত হতাশাজনক। গত রবিবারের মতই এই রবিবারও ফের একই ভুল করল বিরাট ব্রিগেড। এদিনও প্রথম থেকেই পরপর উইকেট খুইয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় ভারতীয় দল। যার জেরে নিউজিল্যান্ডের মত বড় দলের বিরুদ্ধে মাত্র ১১১ রানেরই টার্গেট দিতে পেরেছিল মেন ইন ব্লু। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অতি সহজে মাত্র দুই উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।
এই হারের পর স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “এটা সত্যিই অদ্ভুত ছিল। আমি বলতে চাইছি যে আমাদের সৎ হতে হবে, প্রয়োজনে নিষ্ঠুর হতে হবে। আমি মনে করি না যে আমরা ব্যাট বা বলে যথেষ্ট সাহস দেখাতে পেরেছি। আমি বলতে চাইছি বল হাতে আমাদের শক্তি বিশেষ কিছু করার ছিল না। আমরা যখন মাঠে নামলাম তখন আমাদের শরীরী ভাষাতে যথেষ্ট সাহস ছিল না এবং নিউজিল্যান্ডের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং ইনটেনসিটি সত্যিই অনেক ভালো ছিল। তারা প্রথম ওভার থেকেই আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তা ধরে রাখে। আমরা যখনই সুযোগ নিতে চেয়েছি তখনই উইকেট হারিয়েছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমনটা থাকে, কিন্তু আপনি যখন ভাবেন যে শট নেওয়া উচিত কি না তা সন্দেহজনক হয়ে পড়ে।”
একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আপনি যখন ভারতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেন স্বাভাবিকভাবেই আপনার উপর অনেক প্রত্যাশা থাকে। সবাই কেবল সর্মথকরা নয়, খেলোয়াড়রাও প্রত্যেকেরও আশা প্রত্যাশা থাকে। আমরা যেখানেই খেলি, সকলে আমাদের দেখেন। লোকেরা আমাদের সমর্থন করতে স্টেডিয়ামে আসেন, তাই আমাদের খেলার সঙ্গে সব সময় আরও অনেক বিষয় জড়িত থাকে৷ এই বিষয়টি সমস্ত খেলোয়াড়কে মেনে নিতে হবে এবং কীভাবে এর মুখোমুখি হতে হবে তা শিখতে হবে৷ আপনি যদি এর মুখোমুখি হন তবে একটি দল হিসাবে আপনি চাপ এবং কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন যা আমরা এই দুটি ম্যাচে করতে পারিনি, তাই আমরা জিততে পারিনি।”
অর্থাৎ ভারত অধিনায়ক কার্যত মেনেই নিয়েছেন গতকাল প্রত্যাশার চাপেই পতন হয়েছে দলের। জানিয়ে রাখি একইসঙ্গে ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে আইপিএলের চাপের কথাও উল্লেখ করেছেন ভারতীয় দলের আরেক সুপারস্টার জাসপ্রিত বুমরাহ। তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন, আইপিএল এবং বায়ো বাবেলের জেরে মানসিক চাপ যথেষ্ট ছিল, যদিও একইসঙ্গে তিনি বলেন, যখন আপনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ক্রিকেট খেলছেন তখন এই চাপ আপনাকে সহ্য করতে শিখতে হবে। কার্যত এখন মরু দেশে ভারতের সফর সমাপ্তির পথে। বাকি তিন ম্যাচ জিতলেও ভারতের অবস্থান খুব একটা সুখকর হবে না, কারণ এই মুহূর্তে নেট রানরেটেও অনেকখানি পিছিয়ে রয়েছে তারা।