৭১তম শতরান পেতে সচিনের পুত্র অর্জুন টেন্ডুলকারের পরামর্শ কাজে লাগিয়েছেন কোহলি

Published On:

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: শেষে সকলের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রানে ফিরেছেন বিরাট কোহলি। কাল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিয়ম-রক্ষার ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ভারত। সেই ম্যাচ ঘিরে অনেকেরই কোনরকম কৌতূহল ছিল না। খুব বেশি মানুষ নজরও রাখেনি টিভি স্ক্রিনে। দল নির্বাচন থেকে শুরু করে টস এর ফলাফল কোন ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ ছিলো না কারোর।

এই ম্যাচে রোহিত শর্মা নিজেকে বসিয়ে দীনেশ কার্তিককে খেলার সুযোগ করে দেন। রোহিত শর্মার অবর্তমানে লোকেশ রাহুল এই ম্যাচে ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। রোহিতের অনুপস্থিতিতে কাল প্রথমে ব্যাট করতে নামা সময় রাহুলের সাথে ওপেন করতে নামেন বিরাট কোহলি। প্রথমদিকে ধীরেসুস্থে খেললেও ক্রমশ যত শতরানের কাছে এগোচ্ছিলেন, ততো কোহলির ব্যাট দাপট বাড়িয়ে চলেছিল। শেষ পর্যন্ত নিজের ইনিংসের ৫৩ তম বলে ফরিদের বল সপাটে সরল করে উইকেট দিয়ে গ্যালারিতে পাঠিয়ে নিজের ৭১ তম শতরান পূরণ করেছিলেন।

কোহলি যেমন দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছেন নিজের ৮১ তম শতরানের জন্য ঠিক তেমনই এক সময়ে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন টেন্ডুলকারের ব্যাটের দেখা যাচ্ছিল সেঞ্চুরি খরা। ২০০৭ সালে বেশ কয়েকবার নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছে আউট হয়েছিলেন সচিন স্বয়ং। সচিন পুত্র অর্জুন টেন্ডুলকার তখন নেহাতই শিশু। তিনি নিজের বাবাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে নব্বইয়ে পৌঁছানোর পরে বেশি চিন্তা না করে অতি সহজেই বড় শট খেলে শতরান করে আসতে।

যদিও সচিন সে যাত্রায় অর্জুনের কথায় কোনওরকম গুরুত্ব দেননি এবং নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে খেলেই আরও বেশকিছু শতরান করেছিলেন। তবে গতকাল বিরাট কোহলি যেন অর্জুন টেন্ডুলকার এর সচিনকে দেওয়া এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন। ৫১ বলে ৯০ রানে পৌঁছেছিলেন তিনি। তারপর আর বেশি সময় না নিয়ে ফরিদের ওভারের প্রথম এবং দ্বিতীয় বলেই চার এবং ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের শতরান পূর্ণ করতে বেশি সময় নেননি বিরাট।

গতকাল ম্যাচের শেষে কোহলি নিজে জানিয়েছেন যে তিনি ছয় মারার খুব একটা দক্ষ নন। তিনি বরাবর ফিল্ডিং এর গ্যাপের মধ্যে বল ঠেলে রান করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কিন্তু কাল বিরাট এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে যদি দলের প্রয়োজন থাকে তাহলে এবার থেকে যেকোন সময়ে রানের গতি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এইরকম ব্যাটিংয়ে করবেন তিনি।

X