বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ তিনি বিরাট কোহলি (Virat Kohli), এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধোনি ক্রিকেটার এবং সবচেয়ে অর্থবান ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজন। ছোটবেলায় কিছুটা দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে বড় হয়েছিলেন কিন্তু এখন বিশ্বের যে কোনও লোভনীয় জিনিস তার হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি তিনি এমন একটি তথ্য সকলের সামনে এনেছেন যা শুনে ভক্তরা তাকে আরো শ্রদ্ধার চোখে দেখছে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বিরাট কোহলি জানিয়েছেন যে তার বেশিরভাগ সংগ্রহীত গাড়ির তিনি কিছুদিন আগে বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক? একটি সাক্ষাৎকারে তাকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দিয়েছেন, “আমি এগুলিকে বাজে খরচা মনে করেছিলাম। বেশিরভাগ গাড়ি কোনওভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল না। তাই বেশিরভাগ গাড়ি বিক্রি করে দিয়ে যেগুলো আমার পছন্দের এবং প্রয়োজন সেগুলোকে রেখে দিয়েছি। এটা শুধুমাত্র একটা বাস্তববাদী চিন্তা।”
সকলেই জানেন সাম্প্রতিককালে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি সরগরম হয়ে রয়েছে শতরূপ ঘোষ এবং কুণাল ঘোষের একটি বিশেষ বিষয়ে দ্বৈরথ নিয়ে। শতরূপ ঘোষ তথাকথিত সর্বহারা পার্টিদের লিডার হয়ে কিভাবে ২২ লক্ষ টাকা দামের গাড়ি কিনেছিলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। নিজের বাবার কাছ থেকে ওই গাড়ি উপহার পেয়েছেন সেই তথ্য প্রমাণ দিয়ে শতরূপ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে কুণাল ঘোষের বাবা ঠিক করবেন না যে তার বাবা তাকে কোন গাড়ি কিনে দেবেন।
এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান রকম মজার মন্তব্য করেছিলেন নেটিজেনরা। শতরূপ ঘোষ এর আগে বিভিন্ন সময়ে মুখের ওপর কুণাল ঘোষকে চোর বলে সম্মোধন করেছেন। আর তৃণমূল মুখপাত্র প্রথমে শতরূপের দিকে দুর্নীতির ইঙ্গিত করলেও শতরূপ সমস্ত প্রমাণ দেওয়ার পর তিনি তার নৈতিকতা বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সেই কিভাবে একজন কমিউনিস্ট হয়েও এত দামি গাড়িতে চড়তে পারেন কসবার সিপিএম কর্মী। এই নিয়ে লোকে নারায়ণ রকম মন্তব্য করেছেন মজার মজার। কেউ বলেছেন কুণাল ঘোষের কাছ থেকে চুরির ভয়েই বিরাট কোহলি নিজের যাবতীয় গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। আবার কেউ শতরূপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছেন যে বিরাট কোহলিকে দেখে তার শেখা উচিত কিভাবে সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে হয়।
এরই মধ্যে কুনালকে টেস্ট টিউব বেবি বলার জন্য এবার আইনি নোটিশ পেলেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য এই নোটিশ পাঠিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এর সাথে কুণাল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন ক্ষমা না চাইলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে শতরূপের বিরুদ্ধে। কুণাল ঘোষের কাছে ক্ষমা না চাইলেও টেস্ট টিউব বেবি সংক্রান্ত ঐ মন্তব্যটি করার যে অত্যন্ত লজ্জাজনক কাজ এবং অবৈজ্ঞানিক মন্তব্য হয়েছে সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন সিপিএম নেতা।