বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: একদিনের ক্রিকেটে বিরাট কোহলিকেই অধিনায়ক হিসেবে রেখে দেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত সম্ভবত এই সপ্তাহেই নেওয়া হবে। চেতন শর্মার নেতৃত্বে নির্বাচক কমিটি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য দল নির্বাচিত করবে। বিসিসিআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেলেও, সফরটি বাতিল করার কথা ভাবছেন না তারা। তবে তারা গোটা পরিস্থিতিটি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের ফাইনাল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন।
শেষ পর্যন্ত কোহলিরা দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে গেলে সেই সফরে ভারতীয় দলকে তিনটি টেস্ট, তিনটি ওয়ান ডে এবং 4টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে হবে। ২০২২ সালে, অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখে আরও বেশি ছোট ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ম্যাচ হবে। বর্তমান সময়সূচী অনুযায়ী, আগামী ৭ মাসে ভারতকে মাত্র ৯টি একদিনের ম্যাচ খেলতে হবে, যার মধ্যে ৬টি-ই হচ্ছে বিদেশের মাটিতে। ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে চলা সেই ম্যাচগুলিতে কে অধিনায়ক থাকবেন তা বোঝা যাবে কিছুদিনের মধ্যেই।
ভারতীয় বোর্ডের একটি দল কোহলিকে একদিনের ফরম্যাটে অধিনায়ক রাখার পক্ষে। তবে আরেক পক্ষ টি টোয়েন্টি এবং ওডিআই উভয় ফরম্যাটে অধিনায়কত্বের দায়িত্বই একই ক্রিকেটারের হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে। এখন থেকে সময় দিলে রোহিত শর্মা ২০২৩ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক হিসাবে ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন অনেকে।
তবে সবকিছুই নির্ভর করছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলবাছাইয়ের ওপর। তবে ওমিক্রনের কারণে ভারতীয় বোর্ড চাইলেও সেই সফর কিছুটা হলেও রয়েছে প্রশ্নের মুখে। অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞর মতেই কোহলিকে একদিনের ক্রিকেটে শেষ একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। তাই শেষপর্যন্ত একদিনের ক্রিকেটে বিরাট অধিনায়ক থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর হবে তার অধিনায়কত্বের অ্যাসিড টেস্ট।