বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রাক্তন বিস্ফোরক ওপেনার বীরেন্দ্র সেওবাগ, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতের অন্যতম সেরা ওপেনার। তিনি একমাত্ৰ ভারতীয় যার টেস্ট ক্রিকেটে দুটি ত্রিশতরানের রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু মাঝপথে তার কেরিয়ারে এমন একটা সময় এসেছিল যখন তার কেরিয়ারে প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার মুখে দাঁড়িয়েছিল। ২০০৭ সালে অফফর্মের কারণে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন বীরেন্দ্র সেওবাগ। বাজে ফর্মের কারণে এক বছরের জন্য ভারতীয় দল থেকে বাদ ছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীকালে তার ওপর ভরসা দেখান তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক অনিল কুম্বলে।
অনিল কুম্বলে ২০০৮ সালে নজফগড়ের নবাবকে ভারতীয় দলে ফিরিয়ে আনেন। সেই সময়ের প্রসঙ্গে পরে বীরেন্দ্র সেওবাগ বলেছেন, “আমি আচমকাই একসময় জানতে পারি যে আমি আর ভারতীয় টেস্ট দলের সদস্য নই। ওই একটা বছর যদি আমাকে বাদ না দেওয়া হতো তাহলে হয়তো আজ টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রান নামের পাশে থাকতো।”
সেওবাগ তার কেরিয়ার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পেছনে কুম্বলের অবদান স্বীকার করে নিয়েছেন। ২০০৭-০৮ মরশুমে অস্ট্রেলিয়ান সফরে, তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি পার্থে আয়োজিত হয়েছিল। কিন্তু সেই টেস্ট ম্যাচের আগে ভারতীয় দল ক্যানবেরায় গিয়েছিল এবং সেখানে একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলেছিল। সেওবাগ জানিয়েছেন যে সেই প্র্যাকটিস ম্যাচের পূর্বে তখনকার ভারতীয় অধিনায়ক কুম্বলে তাকে ডেকে বলেছিলেন যে “তুমি শুধু এই ম্যাচে একটা ৫০ করো, তাহলেই পার্থ টেস্টের জন্য দলে তোমাকে জায়গা দেওয়া হবে।” চূড়ান্ত আগ্রাসী ব্যাটিং করে সেই অনুশীলন ম্যাচে শতরান করেছিলেন সেওবাগ। এরপর কুম্বলে তাকে কথা দিয়েছিলেন যে যতদিন তিনি অধিনায়ক থাকবেন, ততদিন সেওবাগের ভারতীয় দলে জায়গা পাকা
এরপর পার্থ টেস্টে ব্যাট হাতে ৬৩ রান করেন বিরু। সেওবাগ স্বীকার করেছেন যে ওই ইনিংসটি ছিল তার কেরিয়ারের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ইনিংস। সেওবাগ বলেছেন, “অনিল ভাই আমার প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছিলেন তার মান রাখার জন্য আমি খেলতে নেমেছিলাম। আমি চাইনি যাতে আমাকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য অনিল ভাইকে কোনও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।”