দার্জিলিং ভুলে চলে যান পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা এই নির্জন গ্রামে! প্রকৃতির মাঝে পাবেন অনন্ত তৃপ্তি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত তিন মাস কুয়াশা ও মেঘের কারণে পাহাড় থেকে দেখা মেলেনি কাঞ্চনজঙ্ঘার। তবে গত তিন দিন ধরে পাহাড়ের রানীর দেখা মিলেছে। পরিষ্কার আকাশে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা জানান দিচ্ছে যে পুজো আসছে। আর কয়েকদিন পূজোর বাকি। পুজো আসলেই অনেক বাঙালি ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন পাহাড়ে কিংবা জঙ্গলে।

তবে গত কয়েক বছরে যে হারে দার্জিলিংয়ে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে নিরিবিলিতে সময় কাটানো দুঃসহ ব্যাপার। এমন অবস্থায় আপনাদের পুজোর ডেস্টিনেশন হতে পারে অফ বিট কোনও পাহাড়ের গ্রাম। আমরা কথা বলছি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম বেনদা (Benda) সম্পর্কে। এই জায়গাটি কালিম্পং এর খুব কাছেই অবস্থিত।

এই গ্রামটি তৈরি হয়েছে পাহাড়ের গায়ে একটি ছোট উপত্যকায়। এই গ্রামে রয়েছে কিছু ছোট হোমস্টে। বিভিন্ন পাহাড়ি ফুল ছড়িয়ে রয়েছে এই গ্রামের চারিধারে। অফবিট জায়গা হওয়ায় এই গ্রামে পর্যটকদের আনাগোনা কম। সন্ধ্যায় আগুন জ্বালিয়ে জমিয়ে দিতে পারবেন আড্ডা। মনের সুখে কামড় বসাতে পারবেন চিকেন পকোরা বা সুস্বাদু মোমোতে।

সকালে ঝকঝকে আকাশে দেখা মিলবে উড় মেঘের। এছাড়াও অপূর্ব কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য তো রয়েছেই। এছাড়াও এই গ্রাম থেকে দেখা মেলে সিকিমের পাহাড়ের। সেই পাহাড়ে সন্ধ্যায় দেখা মেলে আলোর, যা তৈরি করে মায়াবী পরিবেশের। এই গ্রামের পাস দিয়ে বয়ে গেছে পাহাড়ি সরু নদী। সেখানে বসে কেটে যাবে ঘণ্টার পর ঘন্টা।

fb img 1690982035640

নদীর এক পাশে রয়েছে চাষের জমি, অপরদিকে রয়েছে একটু মন্দির, সব মিলিয়ে বড়ই নান্দনিক পরিবেশ এই গ্রামের। এখানে বেড়াতে এলে আগে থেকে হোম স্টে বুক করে আসবেন। হোম স্টের নিজস্ব গাড়িও রয়েছে আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এছাড়াও এনজেপি থেকে সেয়ার গাড়িতে পৌঁছাতে পারেন এই গ্রামে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর