বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙালির নাকি পায়ের তলায় সর্ষে! একটু ছুটি পেলেই বাঙালি ঘুরতে যেতে পছন্দ করে। সামান্য কয়েক দিনের ছুটি হাতে পেলেই আমরা পাড়ি দিই জঙ্গল পাহাড় কিংবা সমুদ্র সৈকতে। আমাদের এক একজনের পছন্দ একেক রকম। কেউ পছন্দ করেন সমুদ্রের রোমান্টিক ওয়েদার, আবার কারোর পছন্দ পাহাড়ের নিস্তব্ধতা।
কেউ কেউ আবার ঘন জঙ্গলের মধ্যে খুঁজে পান নিজেকে। এসব কিছু যারা একসাথে অনুভব করতে চান তারা কয়েক দিনের ছুটিতে কলকাতার এই কাছের জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার ঘাটশিলা থেকে আপনারা কাটিয়ে আসতে পারেন দু-তিন দিন।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত ঘাটশিলা পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এই জায়গার নাম আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা কখনো ঘাটশিলা যাননি। তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদন।
ছোটনাগপুর মালভূমির অংশ এই জায়গাটি। ছোট ছোট পাহাড়, নদী, ঝর্ণায় মিশ্রিত এই ঘাটশিলা (Ghatshila) আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। এই জায়গার খনিজ সম্পদ বেশ সমাদৃত। ধারাগিরি ফলস (Dharagiri falls), চিত্রকূট টিলা, বুরুডি ড্যাম (Burudi dam) এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান।
সুবর্ণরেখার পাড় থেকে সূর্যাস্ত দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান এখানে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গৌরিকুঞ্জ রয়েছে এখানে। আপনারা চাইলে একবার ঘুরে আসতে পারেন সেই বাড়ি থেকেও। এছাড়াও ঘাটশিলা রাজবাড়ী অন্যতম একটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। শাল-পলাশ-মহুয়ার বন এই জায়গাটিকে করে তুলেছে মোহময়ী।
ফুলডুঙরি টিলা, রঙ্কিনী দেবীর মন্দিরও আপনারা দর্শন করে আসতে পারেন। সব মিলিয়ে ঘাটশিলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনে থেকে যাবে চিরকাল। হাওড়া থেকে চার ঘন্টার মধ্যে ট্রেনে আপনারা পৌঁছে যাবেন ঘাটশিলা। আপনারা চাইলে ভোরে কলকাতা থেকে ট্রেনে রওনা হয়ে রাতের মধ্যে ফিরে আসতে পারেন। তবে ঘাটশিলার প্রতিটা প্রান্ত দেখার জন্য আপনাকে দু-তিন দিন সেখানে থাকতে হবে।