বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরম পড়ে গিয়েছে তাই পাহাড় প্রেমী মানুষ ইতিমধ্যেই ভিড় জমাতে শুরু করেছেন দার্জিলিংয়ে। তবে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) কাছাকাছি এমন অনেক অফবিট জায়গা রয়েছে যেখানকার সৌন্দর্য রীতিমত মুগ্ধ করবে আপনাকে। বিশেষ করে প্রকৃতিকে একান্তে উপভোগ করার কথা উঠলে এইসমস্ত গ্রাম্যস্থানের জুড়ি নেই। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে বহু পাহাড় প্রেমী মানুষও এখনো পর্যন্ত জানেন না সেই অনন্য সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম গুলোর কথা।
আজ আমরা আপনাকে তেমনই এক শান্ত, নিবিড় পাহাড়ি গ্রামের সন্ধান দেব। জায়গার নাম পালমাজুয়া। ‘পাল’ শব্দের অর্থ তাবু আর ‘মাজুয়া’ বলতে বোঝায় দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী জায়গা।মিরিকের কাছেই ৫,৮০০ ফুট উঁচুতে রয়েছে এইস্থান। উঁচু, নিচু পাহাড়ের ঢালে চা বাগান আর গাছে গাছে ভরে থাকা কমলালেবুর অনবদ্য সৌন্দর্য দেখার জন্য জীবনে অন্তত একবার হলেও ঢুঁ মেরে আসা দরকার এই গ্রাম থেকে। এককথায়, স্বর্গীয় সুখ পাবেন।
পালমাজুয়া থেকে আপনি সহজেই বেড়িয়ে আসতে পারবেন মিরিক গুম্ফা, টিংলিং ভিউপয়েন্ট, টিবেটান গুম্ফা। সুমেন্দু লেক ছাড়িয়ে দূরে পাহাড়ের মাথায় গেলেই দেখা মিলবে রামেতি ভিউ পয়েন্টের। মেঘ না থাকলে এখান থেকেই দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। কি অপূর্ব দৃশ্য! না দেখলে বিশ্বাসই করা যাবে না যে প্রকৃতি আপন খেয়ালে নিজের রূপ-রং-গন্ধ কী ভাবে বদলাচ্ছে। মেঘ উড়ে আসে এলাকার বাড়িতে বাড়িতে।
লোয়ার মিরিকে রয়েছে আরো এক গ্রাম, স্কুলদাঁড়া। পাহাড়ের ঢালে এই ছোট্ট সবুজ গ্রাম দেখলে ভরে ওঠবে আপনার মন। গুরুং জনজাতিদের বাস। এদের আতিথেয়তা মন ভরিয়ে দেবে আপনার। বাহারি ফুলের মেলা আর পাখি দেখার আদর্শ ঠিকানা এই স্কুলদাঁড়া। আপনি চাইলে ঘুরে আসতে পারেন পালমাজুয়া ভিউ পয়েন্ট থেকে। মাছ ধরার শখ থাকলেও সেই ইচ্ছেপূরণ হবে। কপাল ভাল থাকলে রেডপাণ্ডাও দেখতে পাবেন।
এখন প্রশ্ন হল কীভাবে যাবেন ? শিয়ালদা বা হাওড়া থেকে ট্রেনে করে প্রথমে এনজেপি। তারপর সেখান থেকে গাড়িতে সরাসরি চলে আসা যায় মিরিক। দূরত্ব ৬০ কিমি। থাকার জন্য রয়েছে নানান ট্যুরিস্ট লজ এবং হোটেল। এক্কেবারে ঘরোয়া হোমস্টেতেও থাকতে পারেন আপনি। মাত্র ১২০০ টাকাতেই মিলবে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা। তাই পাহাড়ের এক অন্যরকম অভিজ্ঞতার জন্য ঘুরে আসুন এই সমস্ত গ্রাম্য স্থান।