নির্জনতার শান্তি সঙ্গে রঙ্গিতের জলের শব্দ! স্বর্গকে ছুঁয়ে আসতে হলে চলে যান এই পাহাড়ি গ্রামে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঁশবাড়ি নামটার সাথে অনেকেই পরিচিত নন। এই জায়গাটি উত্তরবঙ্গে অবস্থিত। এই জায়গায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতো। রঙ্গিত নদী বয়ে গিয়েছে এই গ্রামের পাশ দিয়ে। বলা যেতে পারে ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রামটি গড়ে উঠেছে রঙ্গিতের মাঝেই। ছোট ছোট কিছু কটেজ বাড়ি রয়েছে সেখানে।

থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। বাঁশবাড়ি (Bansbari) শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সড়কপথে তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে আপনারা শিলিগুড়ি থেকে পৌঁছে যাবেন বাঁশবাড়ি। দার্জিলিং থেকে এই জায়গা দূরত্ব ২৯ কিলোমিটার। দার্জিলিং এ হোটেল না পেলে আপনারা সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন বাঁশবাড়ি।

সাইড সিনের জন্য আজকাল অনেক পর্যটক বাঁশবাড়িকে বেছে নিচ্ছেন। এই গ্রামে রয়েছে এক অসাধারণ নিরিবিলি সৌন্দর্যতা। রঙ্গিত নদীর বয়ে যাওয়ার শব্দ এক অত্যাশ্বর্য মাদকতা সৃষ্টি করেছে। এই গ্রামের আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে থাকে নাম না জানা পাখিদের কলরবে। এখানকার পাহাড়ের উল্টো দিকেই পড়ে সিকিম।

 

চংটং চা বাগান দেখা যায় বাঁশবাড়ি থেকে। দিনে ও রাতে, দুই বেলাই বাঁশবাড়ি গ্রামের সৌন্দর্যতা লক্ষণীয়। এখানকার পাহাড় এতটাই খাঁড়াই যে দূর থেকে দেখা যায় রঙ্গিত নদীর বয়ে চলা। আর বাকি সবকিছু ঝাপসা। রাতের বেলা এখানকার পাহাড়ের গায়ে জ্বলে ওঠা আলো দেখলে আপনার মনে হবে যেন অজস্র জোনাকি ভিড় করে রয়েছে পাহাড়ের গায়ে।

darjeeling1 1690115044

এবারের পুজোয় যদি একটু অন্যরকম পাহাড়ের স্বাদ নিতে চান, তাহলে অবশ্যই চলে আসুন উত্তরবঙ্গের বাঁশবাড়ি। আগে থেকে বুকিং করে রাখা বাঞ্ছনীয়। যারা দার্জিলিং কিংবা জলপাইগুড়ি যেতে চান, তারা কিছুদিনের জন্য এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সব মিলিয়ে বলা যায়, বাঁশবাড়ি এলে আপনি মুগ্ধ হবেনই।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর