বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দায়িত্ব থেকে সরানো হতে চলেছে রাজ্যের ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি বিবেক সহায়কে। বর্তমানে বিবেকের স্থানে জায়গা পেতে চলেছেন মনোজ ভার্মা, যিনি এই মুহূর্তে ব্যারাকপুরের কমিশনার হিসেবে নিজের দায়িত্ব সামলে চলেছেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাঁচিল টপকে এক ব্যক্তির ঢুকে পড়ার ঘটনার জেরে এই অপসারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার আচমকাই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী এড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ে হাফিজুল মোল্লা নামে বছর তিরিশের এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, সকাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে একটি স্থানে লুকিয়ে থাকে সে। পরবর্তীকালে এই ঘটনাটি সামনে উঠে আসার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন উঠে যায়। জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও সকলের নজর এড়িয়ে কিভাবে ওই ব্যক্তিটি পাঁচিল টপকে মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে প্রবেশ করল, তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ে সকলে। যদিও পরবর্তীকালে হাফিজুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে বর্তমানে এই ঘটনার জেরে রাজ্যের ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি পদে পরিবর্তন আনা হতে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
যদিও বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যে ব্যক্তির ঢুকে পড়ার ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত রয়েছে রাজ্য রাজনীতি, তার মানসিক ভারসাম্যহীনতার কথাই সামনে উঠে এসেছে। সেই প্রসঙ্গে হাফিজুলের বাবা বলেন, “আমার ছেলে একবার নবান্নেও চলে যায়। অনুমতি ছাড়া সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকে পুলিশে পর্যন্ত ধরে। তবে সমস্তটাই হয়েছে কারণ, ওর মাথার ঠিক নেই।” এছাড়াও তিনি বলেন, “শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি নয়, ওর যখন যেখানে ইচ্ছা হয়, সেখানে চলে যায়। মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে ডাক্তার দেখালেও সমাধানের কোন রাস্তা বেরোয়নি।”
তবে এ তো গেলো হাফিজুলের প্রসঙ্গ, অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। অতীতেও মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য আর তার কয়েকদিনের মধ্যে এভাবে নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখ এড়িয়ে যেভাবে তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে হাফিজুল, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে প্রশাসন আর এর মাঝে বিবেক সহায়ের অপসারণ নতুন করে এক জল্পনা সৃষ্টি করল বলে মনে করা হচ্ছে।