বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘শান্তি নয়, যুদ্ধ চাই’ সম্ভবত এমনই নীতিতে বিশ্বাসী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। আর তিনি এগোচ্ছেনও সেই পথেই। কিছুদিন আগেই ইউক্রেনের উদ্দেশে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল রাশিয়া। সেখানে না থেমে তার পরের দিনই আমেরিকা এবং ব্রিটেনকে হুঁশিয়ার করেছিলেন পুতিন (Vladimir Putin)। ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য করার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল আমেরিকা এবং ব্রিটেনকে। আর এবার ফের ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে বড়সড় ইঙ্গিত করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
কী কী বিশেষত্ব রয়েছে পুতিনের (Vladimir Putin) রাশিয়ার মিসাইলের?
কিছুদিন আগেই একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল আঘাত হেনেছিল ইউক্রেনে। দাবি, আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলের মতোই এই হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল, যার পাল্লা কয়েক হাজার কিলোমিটার। ওরেশনিক কোড নেমের ওই মিসাইলের টেস্টিং হয়েছিল দানিপ্রোয়। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মিসাইলের গতিবেগ সেকেন্ডে আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার। উপরন্তু এই মিসাইল একসঙ্গে তিন থেকে ছয়টি ওয়ারহেড বহন করতে পারে। এমনকি চাইলে এর মধ্যে পরমাণু বোমা রাখাও সম্ভবপর।
মিসাইল নিয়ে বিশেষ ইঙ্গিত পুতিনের: এর মাঝেই একটি ক্যাবিনেট বৈঠকে পুতিনকে (Vladimir Putin) ওরেশনিক মিসাইলের ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছে। তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে ওরেশনিকের মতো মিসাইলকে বাধা দেওয়ার মতো ক্ষমতাধর কেউ নেই। সেই সঙ্গে খুব ইঙ্গিতবহ ভাবে পুতিন (Vladimir Putin) জানিয়েছেন, এই ধরণের মিসাইলের আরো বহুল উৎপাদন এবং টেস্টিং চালাবে রাশিয়া।
আরো পড়ুন : নিজ্জর হত্যার “গোপন” তথ্য ফাঁস! দেশের সরকারি আধিকারিকরাই আসল “দুষ্কৃতী”, তোপ দাগলেন ট্রুডো
বিশেষ বৈঠক ন্যাটোর: পুতিনের (Vladimir Putin) মন্তব্যে সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত পেয়েই এবার নড়েচড়ে বসেছে ন্যাটো। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ন্যাটোর জেনারেল সেক্রেটারি মার্ক রুট এর সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক এবং ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলির নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
আরো পড়ুন : NCC দিবসে বিবেকানন্দের জন্মদিনের বিশেষ ঘোষণা! “মন কি বাত”-এ তরুণদের কি বার্তা দিলেন মোদী?
উল্লেখ্য, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের অস্ত্রনীতি বদলানোর পরেই পরমাণু নীতিতেও বদল আনে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এখন কার্যত পুতিন (Vladimir Putin) বনাম ন্যাটো হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়ে আসার পরেও কতটা পরিস্থিতির দখল হবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে আর্ন্তজাতিক বিশেষজ্ঞরা।