বাংলাহান্ট ডেস্ক : যে দুটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এই মুহুর্তে আন্তর্জাতিক স্তরে সবচেয়ে বেশি আলোচিত তা ভারত (India) ও রাশিয়া (Russia)। ইউক্রেন (Eukraine) হামলার বিষয়ে রাশিয়ার সরাসরি বিরোধিতা করেনি ভারত। এবার সেই সম্পর্ক আরও মজবুত হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ ২০২৩ জি২০ সামিটে যোগদান উপলক্ষে ভারতে আসছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) প্রসঙ্গত আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত চলেছে জি২০ সম্মেলন।
২০২৩ জি২০ সম্মেলনে পুতিন যোগ দেবেন কিনা সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হয় এক মাস আগে থেকে। জি২০ সম্মেলন ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছিল বালিতে। সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। অবশ্য রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসাবে সেখানে যান সে দেশের বিদেশমন্ত্রী সার্জেই লাভরব। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয় আদৌও পুতিন ভারতে আসবেন কিনা। রাশিয়ার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ জি২০ সামিট ২০২৩-এ যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের ভারতে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। না যাওয়ার কোনও কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছি না। তবে শেষ সিদ্ধান্ত উনিই নেবেন।’
জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে কেন বালি যাননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন? রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের তৈরি রিপোর্টে এর পিছনে এক ভয়ঙ্কর কারণ তুলে ধরা হয়। রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন জি২০ সম্মেলনে খুন হয়ে যেতে পারেন ভ্লাদিমির পুতিন। ভাষ্যকার সের্জেই মার্কভ লেখেন যে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের খেরসন থেকে প্রত্যাহার করেছে। এখন পুতিন আশঙ্কা করছেন যে তাকে হত্যার চেষ্টা হতে পারে। মার্কভ লেখেন, ‘আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করতে পারে এমন প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।’ শুধু তাই নয়, মার্কো বলেছেন, জি-টোয়েন্টি বৈঠকের সময় তাকে ছোট করার বা অপমান করার ষড়যন্ত্র হতে পারে।
অন্য আর একটি সূত্র জানায়, ইউক্রেনের সামরিক অভিযানের পর থেকেই কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছেন পুতিন। জি২০ সম্মেলনে চরম অস্বস্তির মুখে পড়তে পারেন তিনি। সেই অস্বস্তি ঢাকতেই সময়ের অভাবের অজুহাত রাশিয়ার তরফে দেওয়া হয়েছে। তবে পুতিনের এই ধরনের আচরণ আগেও দেখা গিয়েছিল। ২০১৪ সালে পুতিন ক্রিমিয়া দখল করেন। সেই বছর জি২০ সম্মেলনে পুতিনকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল।