বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকাল শুক্রবারই (১৯ মে) জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে (G7 Summit) যোগ দিতে জাপানের (Japan) হিরোশিমার উদ্দেশ্যে উড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। ইউক্রেনে রুশ (Ukraine Russia War) সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম দুই নেতা সামনাসামনি মিলিত হবেন।
সূত্রের খবর, হিরোশিমায় জি-৭ সম্মেলন চলাকালীন মোদি ও জেলেনস্কির পার্শ্ববৈঠক হতে পারে। এই প্রসঙ্গে দিল্লি ও কিয়েভের কূটনীতিবিদরা গোপনে কাজ করছেন। দক্ষিণ এশিয়ার কণ্ঠস্বর হিসাবে জি-৭ (G-7) সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), সেরকমটাই জানান ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোশি এফ সুজুকি। আজ শুক্রবার থেকে জাপানে (Japan) শুরু হয়েছে জি-৭ সম্মেলন। ইতিমধ্যেই সম্মেলনে যোগ দিতে সেদেশে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
এর আগেই বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী অন্ততপক্ষে ডজন খানেক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলি আয়োজনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছিল মন্ত্রক। এর মধ্যে, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি পাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, জি৭ বৈঠকে যোগ দিতে শনিবারই হিরোশিমায় আসবেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। কাজেই ওই দিনই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি হতে পারে।
মনে করা হচ্ছে, জি-৭ সম্মেলনে মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হবে। চিনের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক প্রভাব মোকাবিলায় তারা পরস্পর সহযোগী হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য ভারত তার পুরানো মিত্র রাশিয়া নিয়ে কী অবস্থান নেয়, তা প্রকট করবে এই বৈঠক।
ভারত অন্যান্য অনেক দেশের মতোই রাশিয়ার সমালোচনা করেনি। এর ফলে রাশিয়ার তেল ক্রয় বাড়িয়েছে। নয়াদিল্লি সংঘর্ষের একটি কূটনৈতিক সমাধান চেয়েছিল। ভারতের পক্ষ থেকে সরাসরি যুদ্ধ নিয়ে কিছু বলা না হলেও প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করেছিলেন।