প্রয়োজন নেই উপহারের! পরিবর্তে ভোট দিতে হবে মোদীকে, বিয়ের কার্ডে এহেন অনুরোধে হতচকিত নেটিজেনরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election) আবহে সরগরম সর্বত্র। শুধু তাই নয়, এই সময় রাজনৈতিক দলগুলির ব্যস্ততাও রয়েছে তুঙ্গে। তবে এবার, এই ভোটের আঁচ পৌঁছে গেল বিয়েবাড়ি পর্যন্ত। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি শুনে কিছুটা অবাক হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। মূলত, এবার একটি বিয়ের কার্ড উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। যেখানে অতিথিদের আমন্ত্রণের পাশাপাশি জানানো হয়েছে একটি বিশেষ আর্জি। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, বিয়ের আমন্ত্রিতদের উপহার নিয়ে আসার পরিবর্তে তাঁরা যেন বিজেপিকে ভোট দেন।

এদিকে, উপহারের পরিবর্তে এমন অনুরোধে স্বভাবতই চমকে গিয়েছেন সকলে। শুধু তাই নয়, এমন বিয়ের কার্ড কেউ কোনও দিন দেখেছেন কিনা সেটাও মনে করতে পারছেন না নিমন্ত্রিতরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বিয়ের কার্ডে নতুনত্ব এখন একটি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে বিয়ের কার্ডকেই প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টি সত্যিই নতুন।

Vote for Modi, netizens shocked by such request on wedding card.

রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই অভিনব বিয়ের কার্ডের ভাবনা মাথায় এসেছে তেলেঙ্গানার সঙ্গারেড্ডির একটি পরিবারের। যেখানে পাত্রের বাবা-মায়ের তরফে আমন্ত্রিতদের উদ্দেশ্যে আবেদন করা হয়েছে যে, উপহার নয় বরং তার পরিবর্তে আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ভোট দিলে খুশি হবেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, বিয়ের কার্ডে রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবিও। আর এইভাবেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সাই কুমারের সঙ্গে হতে চলা মহিমা রানির এই বিয়ের কার্ড।

আরও পড়ুন: ১০ দিনের মধ্যেই রাশিয়া থেকে ভারতে পৌঁছবে পণ্য! পশ্চিমী দেশগুলিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মেগা প্ল্যান পুতিনের

জানা গিয়েছে, পাত্র সাই কুমারের বাবার নাম ননিকান্তি নরসিংহালু। তিনি একজন বিজেপি সমর্থক হিসেবেই পরিচিত। এমতাবস্থায়, আগামী ৪ এপ্রিল হতে চলা ছেলের বিবাহের অনুষ্ঠানের কার্ডে দলের প্রতি এবং দলনেতা মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি, ওই কার্ডই হয়ে উঠেছে প্রচারের মাধ্যম। এদিকে, নেটমাধ্যমে ওই বিয়ের কার্ডের ছবি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, ওই কার্ডের পরিপ্রেক্ষিতে সামনে এসেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও।

আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌবাহিনীর দাপটে “হাঁ” হয়ে গেল শত্রুদেশ! আরব সাগরে শক্তি প্রদর্শন ৮ টি সাবমেরিনের

নেটিজেন্দের মধ্যে অনেকেই এই ভাবনার প্রশংসা করলেও কিছু জন আবার করেছেন তীব্র কটাক্ষ। এদিকে, বিয়ের কার্ডকে কেন দলের প্রচারের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরাও। অর্থাৎ, এই বিয়ের কার্ডকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তবে, বর্তমান সময়ে সমগ্র দেশজুড়ে নির্বাচনে লড়াই করা প্রার্থীদের ভোট প্রচারের আবহে বিয়ের কার্ডের মাধ্যমে প্রচার সারার বিষয়টি নিঃসন্দেহে আকৃষ্ট করেছে সবাইকে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এর আগে ২০১৯ সালে হায়দ্রাবাদে মুকেশ রাও ইয়ান্জে নামের এক ব্যক্তি তাঁর বিয়ের কার্ডে ঠিক একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। তিনিও তাঁর বিয়ের কার্ডে উপহারের বদলে লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর সমর্থনে আমন্ত্রিতদের কাছে ভোট চেয়েছিলেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর