বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের গোলমাল অভিষেকের ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে। আবারও ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের (TMC Supporters) বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে করণদিঘিতে ভোটগ্রহণ চলাকালীন বেশ কয়েকটি বুথে ছাপ্পা পড়েছে বলে তৃণমূলের দলীয় সূত্রে অভিযোগ। তার আগে ইসলামপুরে ব্যালট নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি চলে। কোচবিহারে ভোট লুঠের সেই ধারা জারি রইল উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলাতেও।
গতকাল রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চোপড়া, ইসলামপুর ও চাকুলিয়ায় জনসভা করেন। ইসলামপুর, চোপড়া ও গোয়ালপোখর ১ ও ২ নম্বর ব্লকের ভোটগ্রহণ হয় এদিন। ইসলামপুরে অভিষেকের বক্তব্য শেষ হতেই ব্যালট পেতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলকর্মীরা।
এর আগে, চোপড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথে ছাপ্পার অভিযোগ তোলে তৃণমূলেরই একাংশ। রাতে করণদিঘিতে হাপটিয়াগছ ও গোয়াগাঁও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথেও ছাপ্পার অভিযোগ ওঠে। ভোট দিতে না পেরে রাতে অভিষেকের সভামঞ্চের সামনে ধরনায় বসেন জেলা পরিষদ সদস্য আসমাতারা বেগম।
গত ২৫ এপ্রিল থেকে উত্তরবঙ্গে সফরে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় ঘুরে দলের নেতাকর্মীদের থেকে ভোট নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। আর প্রথম দিন থেকেই সভা শেষে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হলেই দেখা যাচ্ছে বিশৃঙ্খলা। ব্যতিক্রম হল না উত্তর দিনাজপুরও।
এদিকে, তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি। কাতারে কাতারে তৃণমূল কর্মীদের ভিড়। আর তার সঙ্গেই পুলিসি নিরাপত্তা একেবারে তুঙ্গে। খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচির মধ্যমণি। সেখানে পুলিসি নিরাপত্তা তো থাকবেই। তার উপর ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে যেভাবে দফায় দফায় গন্ডগোল তাতে স্বাভাবিকভাবেই চাপ বেড়েছে পুলিসের। তবে এবার সেই পুলিস মোতায়েনের খরচ নিয়ে হিসেব চাইলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু টুইটে লেখেন, ‘তৃণমূল পুলিসকে ব্যক্তিগত সিকিউরিটি এজেন্সি হিসাবে ব্যবহার করছে। আমি রাজ্যের ডিজিপির কাছ জানতে চেয়েছি, তৃণমূল কি পুলিসফোর্স মোতায়েনের জন্য খরচ দিয়েছে? যদি এটা দেখাতে না পারেন তবে আমি কোর্টে যাব। বাংলার মানুষের পক্ষ নিয়ে আমি আদালতে যাব। যাতে বাংলার স্বেচ্ছাচারী রানি রাজ্যের ট্রেজারিকে নিজের পার্সোনাল পিগি ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করতে না পারেন।’