বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত-বিরোধী বিজ্ঞাপন ছাপা হল আমেরিকার (US) একটি জনপ্রিয় দৈনিকে। ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর (Wall Street Journal) প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয় ওই বিজ্ঞাপন। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতে আর বিনিয়োগের পরিবেশই নেই। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে মোদি সরকার। এরই সঙ্গে দাবি করা হয়, অন্তত ১২ জন ভারতীয় পদাধিকারীর আমেরিকা ও তার মিত্র রাষ্ট্রগুলিতে প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হোক। এই তালিকায় রয়েছে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের নামও! এমন এক বিজ্ঞাপন ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভারতীয়রা ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছে, ক্ষমা চাইতে হবে পত্রিকার সম্পাদককে।
জানা যাচ্ছে, গতকাল শনিবার ওই বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। এই মুহূর্তে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ রয়েছেন আমেরিকাতেই। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সেকথা মাথায় রেখেই এমন বিজ্ঞাপনের পরিকল্পনা করেছে ওই দৈনিক। বিজ্ঞাপনটির দাবি, ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তাই নির্মলা-সহ আরও ১১ জনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। মন্ত্রী, আমলা, বিচারপতি কে নেই সেই তালিকায়!
প্রশ্ন উঠেছে, এমন বিদ্বেষমূলক বিজ্ঞাপনের পরিকল্পনা কার? বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এর পিছনে রয়েছেন রামাচন্দ্রন বিশ্বনাথন। তিনি দেভাস গ্রুপের প্রাক্তন সিইও। বিশ্বনাথন এই মুহূর্তে দেশের বাইরে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্তা এমনই দাবি করে টুইটও করেন। তিনি লিখেন, ‘বিশ্বনাথন ভারতের একজন আর্থিক অপরাধী। যিনি ভারতীয় আইন থেকে বাঁচতে বিদেশে পালিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট ওঁর সংস্থা দেভাস গ্রুপকে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এটা কেবল মোদি সরকারের বিরোধী প্রচার নয়। এটা বিচারব্যবস্থার বিরোধী। এমনকী, ভারতের সার্বভৌমত্বেরও বিরোধী।’
ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে একাধিক বার এই ধরনের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। কেন্দ্র এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ত্রাসের সঞ্চার করতে চাইছে, এমনই অভিযোগ তাদের। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার মাটিতে বিতর্কিত বিজ্ঞাপনেও একই দাবি প্রকাশ পেল। তবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয় নি বলেই জানা যাচ্ছে।