বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সপ্তাহের শুরু থেকেই শিরোনামে রয়েছে ওয়াকফ আইন। রবিবার এই আইনে সংশোধনের প্রস্তাবনার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর থেকে মাথাচাড়া দিয়েছে একাধিক জল্পনা। ওয়াকফ আইনে (Waqf Law) সংশোধন হলে কি কেড়ে নেওয়া হবে মুসলিমদের জমি? এবার সত্যিটা জানিয়ে দিল কেন্দ্র।
ওয়াকফ আইনে (Waqf Law) সংশোধন হলে কী হবে?
এই আইনে সংশোধনী প্রস্তাবনার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে নানান জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। এক পক্ষের দাবি, এই আইনে যদি সংশোধন করা হয়, তাহলে ওয়াকফ এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষদের মালিকানাধীন জমি কেড়ে নেওয়া হবে। তবে এবার কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সরকার এই আইনে স্বচ্ছতা আনতে আগ্রহী। সেই সঙ্গেই সরকারি সূত্রের দাবি, ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) ক্ষমতাশীল মুসলিমরা রয়েছেন। তাঁরাই কেবলমাত্র এই সংশোধনীর বিরোধিতা করছেন।
জানা যাচ্ছে, ওয়াকফ বোর্ডের এক্তিয়ার ও ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা হল সরকারের লক্ষ্য। বর্তমানে ভারতে যে ওয়াকফ আইন রয়েছে, সেখানে আদালতে কোনও ওয়াকফ সম্পত্তিকে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। কোনও জমির ওপর অধিকার দাবি করতে গেলে ওয়াকফ বোর্ডের সরকারি গণনা অথবা জরিপের দরকার পড়ে না।
আরও পড়ুনঃ পার্থ, বালু, অখিল অতীত! এবার নতুন ৩ মন্ত্রী পেতে চলেছে বাংলা! কাদের কপাল খুলল?
এক্ষেত্রে সরকারের পর্যবেক্ষণ, ওমান অথবা সৌদি আরবের মতো মুসলিম রাষ্ট্রেও এই ধরণের নিয়ম নেই। সেই কারণে এই আইনে (Waqf Law) সংশোধন করা হলে ওয়াকফ বোর্ড যদি কোনও সম্পত্তির ওপর অধিকার দাবি করে তাহলে সেক্ষেত্রে সরকারি পর্যালোচনা বাধ্যতামূলকভাবে করাতে হবে, সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে।
এবার ওয়াকফ আইন নিয়ে সংশোধনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই একাংশ এই নিয়ে বিরোধিতা শুরু করেছে। তাঁদের দাবি, মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জমির মালিকানা কেড়ে নেওয়া হতে পারে। এআইঅইএমআইএ নেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসির দাবি, বিজেপি প্রথম থেকেই ওয়াকফ বোর্ড ও ওয়াকফ সম্পত্তির বিরোধী ছিল। পদ্ম শিবির তাদের হিন্দুত্বের অ্যাজেন্ডার অংশ হিসেবে এই বোর্ডকে মিটিয়ে ফেলতে চাইছে বলে দাবি তাঁর।
এদিকে সরকারের দাবি, ওয়াকফ আইনে সংশোধন (Waqf Law) হলে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জমি কেড়ে নেওয়া হবে অথবা তারা শুধুমাত্র এই সম্পত্তি তৈরি করতে পারবে এই ধরণের সকল তথ্য ভুল বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার পক্ষ। এই বিষয়ে সরকারি সূত্র বলেন, ‘ওয়াকফের হাতে একবার যদি জমি চলে যায় তাহলে সেটা আর ফেরানো যায় না। বোর্ডে ক্ষমতাবান মুসলিমরা রয়েছেন। তাঁরা বোর্ডকে নিয়ন্ত্রণ করেন। শুধুমাত্র তাঁরাই এই সংশোধনের বিরোধিতা করছেন’।